নিজস্ব প্রতিবেদক : কুষ্টিয়ার সৎ ও সাহসী পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত পিপিএম (বার) এঁর কুষ্টিয়া যোগদানের বর্ষপূর্তি হয়েছে ১৫ সেপ্টেম্বর। কুষ্টিয়ায় যোগদানের পর থেকে মাদক, জঙ্গী, সন্ত্রাস দমনে কঠোর অবস্থানে তিনি। নিজের ঘর থেকে শুরু করেছিলেন শুদ্ধি অভিযান। প্রায় ৩০ জন পুলিশের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন। ৭০ জনের বেশী পুলিশকে কুষ্টিয়া থেকে সরানো হয়েছে। এরপর শুরু হয়েছে বিরামহীন অভিযান। অনিয়ম, দুর্নীতি, মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গীসহ সমাজের নানা অসঙ্গতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন।
আধুনিক পুলিশ কমপ্লেক্স নির্মাণ, সার্কেল অফিস, থানার ভার্টিকেল এক্সটেনশন, পুলিশ ক্যাম্পগুলোর একদিকে অবকাঠামোগত উন্নয়ন অন্যদিকে মানবিক ও পেশাদারিত্বের ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে এই এক বছরে। সাথে সাথে একই প্যারামিটারে তর তর করে বৃদ্ধি পেয়েছে আইন শৃঙ্খলার উন্নয়ন।
বর্তমান পুলিশ সুপার যোগদানের পর এই জেলায় দুই ডজনের বেশী বাঘা বাঘা মাদক কারবারী বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। বাকীরা দেশ ছেড়ে, জেলা ছেড়ে, এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। সামান্য কিছু বর্ণচোরা মাদক কারবারী রয়েছে যারা ইঁদুরের মত গর্তে পালিয়ে থেকে অতি সংগোপনে এ্ই কারবার চালাচ্ছে তবে পুলিশ এদের খুঁজছে। অনেক রোড ডাকাত ও ছিনতাইকারী বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার পর এখন নিরাপদ ও শান্তির সড়কে পরিণত হয়েছে এক সময়ের রক্তাক্ত এই জনপদে।
কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ এখন সম্পুর্ন দুর্নীতিমুক্ত। এখন জিডি করতে, মামলা করতে, আসামী ধরতে, রিমান্ড নিতে কোন টাকা লাগে না। থানাগুলোতে এখন আর রিমান্ডের নামে ডিমান্ড নেই। এই জেলায় কোন পুলিশের পোস্টিং নিতে টাকা লাগে না। যে কারনে পুলিশ ডিপার্টমেন্ট এখন সম্পুর্ন পরিশুদ্ধ।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত পিপিএম (বার) কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের জন্য এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন। পুলিশের প্রথম প্রয়োজন শৃঙ্খলা। আর শৃঙ্খলা ফেরাতে পুলিশের ডোপ টেস্ট করানো হয়। ডোপ টেস্টে যারা ধরা পড়ে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়ে থাকে।
কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ এখন সেবার দিক থেকে সারাদেশের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে। বিশেষ করে এই জেলায় কোন ওয়ারেন্ট পেন্ডিং নেই। আগে আদালতে এক বছরে যত স্বাক্ষী হাজিরা হত এখন তা হয় ১০ দিনে। এক্ষত্রে ৩টি টিম গঠন করেছেন পুলিশ সুপার। বর্তমানে কুষ্টিয়ায় মামলা গ্রহনের চেয়ে ডিজপোজালের সংখ্যা বেশী। মামলা নিষ্পত্তির দিক থেকে কুষ্টিয়া রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন বর্তমান সুযোগ্য পুলিশ সুপার। তিনি ১৯৯১ সালের মামলা পর্যন্ত নিষ্পত্তি করেছেন। ২০০৬, ২০০৭, ২০০৮ সালের রাজনৈতিক মামলাও নিষ্পত্তি করেছেন সুযোগ্য পুলিশ সুপার। প্রায় ৬ থেকে ৭’শর মত পেন্ডিং মামলা ছিলো। এখন তা ২’শর নীচে নেমে এসেছে। কুষ্টিয়ায় যোগদানের সাথে সাথে এই জেলার নারী ও শিশুদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ সুপার প্রতিষ্ঠা করেছেন প্রত্যয় নামে একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতি মাসে প্রত্যয়ের মাধ্যমে ৫/৭টা অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয়।
কুষ্টিয়া রাাজনৈতিক হানাহানি রক্তপাতমুক্ত করেছেন পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত। ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ের মত স্পর্শকাতর প্রতিষ্ঠানেও কোন রক্তপাত ঘটেনি গত এক বছরে। প্রতিমাসে ৭/৮ টি ডাকাতি মামলা হতো। বর্তমানে তা ১/২টায় নেমে এসেছে তাও ডাকাতি নয় দস্যুতা।
তদন্তের মান বেড়েছে। যে কারনে স্বাক্ষী, প্রমানে এবং পুলিশের তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে আদালতে একের এক ফাঁসি, যাবজ্জীবন, সহ বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড হচ্ছে। কোন অপরাধী আইনের হাত থেকে পার পাচ্ছে না। বর্তমানে পোস্ট মোর্টেম রিপোর্ট মাত্র ৭/১০ দিনের মধ্যে নিয়ে আসে পুলিশ। যে কারনে হয়রানীর শিকার হচ্ছে না ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ। এই জেলায় মাদক বিরোধী সমাবেশ এবং মাদক কারবারীদের সারেন্ডার করিয়ে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত। এখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, জননেতা মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি, আইজিপি, ডিআইজিসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কুষ্টিয়া স্টেডিয়ামে মাদক বিরোধী সমাবেশ মহাসমাবেশে পরিণত হয়।
কুষ্টিয়ায় জাতীয় ও উপজেলা নির্বাচন হয়েছে রক্তপাতহীন। একজনেরও প্রাণহানী ঘটেনি। ইভটিজিং, কিশোর গ্যাং, সামাজিক দ্বন্দ্বসহ সমাজের সকল অনাচার নিরসন করে অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে গত এক বছরে শান্তি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কুষ্টিয়া জেলাকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে এসেছেন এস এম তানভীর আরাফাত পিপিএম (বার)। কুষ্টিয়াবাসী মধ্যরাতে বাস থেকে নেমে নির্বিঘেœ বাড়ি ফেরেন। কুষ্টিয়ায় জননেতা মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি’র শক্তি এবং সাহসে সৎ ও সুযোগ্য পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত পিপিএম একদিকে পুলিশের মান উন্নয়ন করেছেন অন্যদিকে সেবার মাধ্যমে জনগনের শতভাগ আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন। গত এক বছরকে শান্তির বর্ষ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন কুষ্টিয়া জেলার ২২ লক্ষ মানুষ।