Site icon দেশের পত্রিকা – দেশের পত্রিকা দেশের কথা বলে

কুষ্টিয়ার হরিপুরে গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি :

কুষ্টিয়ায় পারিবারিক কলহের জের ধরে রত্না খাতুন নামে (৩০) নামে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার পর স্বামী নিজেও বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন। শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হরিপুর মেছোপাড়া এলাকায় রত্নার বাবার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।  

নিহত রত্না খাতুন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিপুর মেছোপাড়া এলাকার আমদ মন্ডলের মেয়ে। এবং একই গ্রামের রশিদ মোড় এলাকার ওমর আলীর ছেলে টুটুলের স্ত্রী (৩৮)।

তাদের সংসারে ৮ বছর বয়সী তামিম নামের একটি সন্তান রয়েছে।  

নিহতের পরিবার ও স্বজনরা জানান, ৮-১০ বছর আগে টুটুলের সাথে রত্নার বিয়ে হয়। তাদের সংসদের আট বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী টুটুলকে তালাক দিয়েছিলেন রত্না।

এরপর রত্না তার বাড়ির পাশে দ্বিতীয় বিয়ে করে। দ্বিতীয় স্বামীকে তালাক দিয়ে কয়েকদিন আগে প্রথম স্বামীর ঘরে ফিরেছে। হঠাৎ শনিবার দুপুরে টুটুল রত্নাকে ধারালো ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।  নিহতের বোন তন্নী ও অন্তরা বলেন, আমার বোনকে টুটুল ও তার পরিবারের লোকজন হত্যা করেছে।
পারিবারিক কলহের জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান তিনি।  স্বজনরা জানান, দুপুর দিকে চিৎকার চেঁচামেচিতে বিষয়টি জানাজানি হয়। আমরা গিয়ে দেখি যে, রত্না রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের মধ্যে পড়ে আছে। তার বুকে একাধিক জায়গায় কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

উদ্ধার করে হসপিটালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত্ব চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।  

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই ওই গৃহবধূও মৃত্যু হয়। ওই নারীকে বুকেসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের স্বামী বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। তিনি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে স্বামী। স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামী বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Exit mobile version