![](https://www.desherpotrika.com/wp-content/uploads/2019/01/ডিপি৬-1.jpg)
![](https://www.desherpotrika.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
অনলাইন ডেস্ক: দিনের এ সময়টায় এমনিতেই গায়ে ভর করে রাজ্যের আলস্য। অনেকেরই চোখে নেমে আসে ভাত ঘুম। অফিস আদালতে ব্যস্ত লোকজনকেও পেয়ে বসে আলগা আলস্য। বিপিএলের প্রথম ম্যাচগুলোতেও হয়তো এরই প্রভাব পড়েছে। চার-ছক্কার বিজ্ঞাপন দেওয়া বিপিএল তাই উপহার দিল আরেকটি ঘুম পাড়ানো ম্যাচ। লো স্কোরিং ম্যাচে সিলেট সিক্সার্সকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। ১২৭ রান তাড়া করতেই ১১৯ বল খেলতে হয়েছে বিজয়ী দলকে।
১২৮ রানের লক্ষ্য। প্রথম ওভারেই স্ট্রেট ড্রাইভে চার মারলেন তামিম ইকবাল। কে জানত, ইনিংসের ১৭তম ওভার পর্যন্ত আর কোনো চার মারা হবে না তামিমের! অন্যপ্রান্তে সঙ্গীদের হতাশাজনক পারফরম্যান্সে খোলসে ঢুকে পড়া তামিম এর মাঝে শুধু আরেকবারই বল সীমানা ছাড়া করেছিলেন। অলক কাপালির ওভারে ফ্রি হিট পেয়ে কাউ কর্নারে উড়িয়ে ফেলেছিলেন। সপ্তম ওভারেই সে ছক্কার পর পুরো কুমিল্লা দলই বাউন্ডারি মেরেছে একটি। নবম ওভারে নামা শোয়েব মালিক প্রথম বলেই চার মেরেছিলেন।
তামিমের চারের মতোই মালিকের চারও ভুল বুঝিয়েছে। কারণ উইকেটে এর পর আরও ১৯ বল খেলে আর কোনো চার-ছক্কা মারতে পারেননি পাকিস্তানি অলরাউন্ডার। ২০ বলে ১৩ রানের এক ইনিংস খেলে ম্যাচে সিলেটের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিয়ে গেছেন। শুধু মালিকের দায়ও দেওয়া যাচ্ছে না। ইনিংসের ১৫তম ওভার পর্যন্ত কুমিল্লা ইনিংসে ছিল মাত্র ৪টি চার ও এক ছক্কা। কুমিল্লার ব্যাটিং লাইনআপের খবর নিয়ে নেওয়া যাক এই ফাঁকে; তামিম, এভিন লুইস, স্টিভ স্মিথ, শোয়েব ও শহীদ আফ্রিদি! টি-টোয়েন্টিতে যদি ইমরুল কায়েস ও এনামুল হককে হিসেবে আনতে ইচ্ছা না হয়!
প্রথম ইনিংসে সিলেটও যে খুব চার-ছক্কা হাঁকিয়েছে, সেটা নয়। ১২টি চার ও ৪ ছক্কার পরিসংখ্যান থেকে শুধু নিকোলাস পুরানকে সরিয়ে দিলেই সেটা যথাক্রমে ৭ ও দুইয়ে নেমে আসে। কিন্তু কুমিল্লার ইনিংস দেখে সিলেট সিক্সার্সের ব্যাটিংও বেশ আকর্ষণীয় ঠেকছিল। নেপালের লেগ স্পিনার সন্দীপ লামিচানের স্পেলটাও দর্শককে আরও বেশি টেনেছে। ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রান দিয়ে ২ উইকেট পেয়েছেন এই লেগ স্পিনার। আফ্রিদি বাধা না হলে ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্সই বলা যেত একে।
১৬তম ওভারে আল আমিন হোসেনকে চার মেরে আফ্রিদি ম্যাচের গতি পাল্টানোর ইঙ্গিত দিলেন। পরের ওভারে মোহাম্মদ ইরফানকে এক চার ও এক ছক্কাও মারলেন, আবার সে ওভারেই তামিমকে রান আউট করে গোলমাল পাকালেন। ৩৪ বলে তামিমের ৩৫ রানের ইনিংসটি শেষ হলো একরাশ অপূর্ণতা নিয়ে। আফ্রিদি অবশ্য এ নিয়ে হাপিত্যেশ করতে দেননি দলকে। মাত্র ২৫ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৩৯ রান করে ম্যাচ শেষ করে এসেছেন আফ্রিদি।
ভয়ংকর ত্রুটিপূর্ণ ধারাভাষ্য, সম্প্রচারের সমস্যার কথা তোলা থাকা। মাঠের দর্শকের চোখে এসব সমস্যা ধরা পড়ে না। কিন্তু দর্শককে মাঠে আনতে হলে টি-টোয়েন্টিতে চার-ছক্কা আর রানের বন্যা ছোটাতে হবেই। মিরপুরের উইকেটের দোষ নাকি ব্যাটসম্যানদের খামখেয়ালি ম্যাচগুলোকে এমন ঘুমপাড়ানি বানিয়ে ফেলছে, সেটা বিশ্লেষকেরাই ভেবে বলুক। কিন্তু এমন দুপুরে কড়া রোদে এমন লো স্কোরিং ম্যাচ যে দর্শক আগ্রহ বাড়াবে না উল্টো কমাবে সে ভবিষ্যদ্বাণী করতে কোনো আপত্তি নেই।