ডিপি ডেস্ক :
ফরিদপুরে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে ইসমাইল শেখ (৪৭) নামের এক ব্যক্তিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি আসামিকে আরো দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক, যা আদায় করে ভিকটিমের পরিবারকে দেওয়ার জন্য জেলা কালেক্টরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শামীমা পারভীন এ রায় ঘোষণা করেন।
আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ইসমাইল শেখ সদর উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের চতর খাড়াপাড়া গ্রামের আমিন শেখের ছেলে।
রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত থাকায় পুলিশ পাহারায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ধর্ষিত প্রতিবন্ধী কিশোরী পাগলের ন্যায় স্থানীয় বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা করত। সে অবিবাহিত ছিল। ২০২৩ সালের ১৩ এপ্রিল মেয়েটির শারীরিক গঠন দেখে পরিবারের সন্দেহ হয়।
এরপর মেয়েকে নিয়ে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সে গর্ভবর্তী প্রমাণিত হয়। পরে খোঁজ নিয়ে পরিবারের লোকজন জানতে পারেন একই এলাকার ইসমাইল শেখ প্রতিবন্ধী মেয়েটিকে ক্ষেতের ভেতর নিয়ে ধর্ষণ করেছিল।
এ ঘটনায় বাকপ্রতিবন্ধী মা ২০২৩ সালে ৯ জুন ইসমাইল শেখকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক শাহরিয়ার হোসেন দীর্ঘ তদন্ত শেষে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
আদালত এ মামলা পর্যবেক্ষণ করে আজ বৃহস্পতিবার ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শামীমা পারভীন এ রায় ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের (পিপি) অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া রতন বলেন, আমরা রাষ্ট্রপক্ষ মামলার এ রায়ে সন্তুষ্ট হয়েছি। এই রায়ে সমাজ থেকে ধর্ষণের মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড কমবে বলে তিনি জানান।

