অনলাইন ডেস্ক :
বাগেরহাটের চিতলমারীতে একটি এনজিওর কর্মীদের বিরুদ্ধে শ্রাবণী হীরা (২২) নামের এক গৃহবধূর হাতের সোনার আংটি, নাকফুল ও পিতলের বদনা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সময়মতো কিস্তির টাকা পরিশোধ না করায় ওই এনজিওর এক কর্মী পাস বইয়ে আংটি বাবদ আট হাজার ও বদনা বাবদ এক হাজার ৫০০ টাকা জমা করেছেন।
গতকাল শনিবার (৮ নভেম্বর) ওই গৃহবধূর একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় সমালোচনার সৃষ্টি হয়। তবে এনজিওটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি, গৃহবধূ খুশি হয়ে তাদের হাতে আংটি, নাকফুল ও বদনা তুলে দিয়েছেন; জোর করে নেওয়া হয়নি।
ভুক্তভোগী নারী উপজেলার আড়ুয়াবর্নী গ্রামের বাসিন্দা। কান্নাজড়িত কণ্ঠে শ্রাবণী হীরা জানান, তিনি ডাম ফাউন্ডেশন ফর ইকোনমিক ডেভেলপমেন্টর (ডিএফইডি) চিতলমারী শাখা থেকে ৪০ হাজার টাকা ঋণ নেন। লাভসহ তার ৪৫ হাজার ১২০ টাকা পরিশোধ করার কথা ছিল। কিন্তু সামান্য কিছু টাকা বাকি থাকতে তার স্বামী রিপন কাজের জন্য এলাকার বাইরে যান।
এরপর কয়েকটি কিস্তি খেলাপি হলে গত ২৯ অক্টোবর সকাল ১০টায় এনজিওর কর্মীরা তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান।
অফিসে নিয়ে তাকে ও তার তিন বছরের কন্যাশিশুকে একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। পরে এনজিওকর্মী ও কর্মকর্তারা ফিল্ড থেকে ফিরে বিকেলে জোরপূর্বক শ্রাবণী হীরাকে দিয়ে দুটি ফাঁকা স্ট্যাম্পে সই করিয়ে নেন। পরে জোর করে হাতের আংটি, নাকফুল ও পিতলের একটি বদনা নিয়ে ভিডিও ধারণ করে রাখা হয়।এমন সময় তার শিশুটি ক্ষুধার জন্য ছটফট করছিল। ভয়ে তিনি কাউকে কিছু বলতে পারেননি।
এ বিষয়ে ডিএফইডির চিতলমারী শাখার ম্যানেজার বাসুদেব দেবনাথ বলেন, গৃহবধূ শ্রাবণীর কিস্তি খেলাপি ছিল। তার কাছ থেকে নাকফুল নেওয়ার বিষয়টি শুনেছি। ঘটনাটি আমরা খতিয়ে দেখব।
<p>পরিচিতি</p><p>প্রকাশক ও সম্পাদক - মোঃ সালমান শাহেদ</p><p>বার্তা সম্পাদক - সজীব কুমার নন্দী</p><p>যোগাযোগ</p><p>ঢাকা অফিস: ৯৫ আজিজ ম্যানশন, (৩য়) তলা, বীর উত্তম জিয়াউর রহমান সড়ক, কাকলী বনানী ঢাকা-১২১৩ বাংলাদেশ। </p><p>১৩৪ এন.এস.রোড, কুষ্টিয়া - ৭০০০, বাংলাদেশ।</p><p>ফোন - +৮৮০-১৮৩১-৩৬৬০১২</p><p>ই-মেইল - info@desherpotrika.com</p><p>সতর্কতা</p><p>এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার ও কপি করা বেআইনি।</p><p>© কপিরাইট ২০১৮ । www.desherpotrika.com</p>
Copyright © 2025 দেশের পত্রিকা - দেশের পত্রিকা দেশের কথা বলে. All rights reserved.