কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদের পারিবার জামাত শিবির বলে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারের যে বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে তা মিথ্যা প্রোপাগান্ডা বলে দাবি করেছেন পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত।
এসএম তানভীর আরাফাতের সাক্ষরিত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমন দাবি জানানো হয়। এছাড়া পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই এমন বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে বলেই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- অদ্য ৯/১০/১৯ তারিখ বিকাল ৪ ঘটিকায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভিসি জনাব সাইফুল ইসলাম কুষ্টিয়ায় উপস্থিত হয়ে কুষ্টিয়া জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সেক্রেটারি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নিহত আবরার ফাহাদ এর গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি থানার রায়ডাঙ্গা গ্রামে গিয়ে পৌঁছান। সেখানে তারা আবরার ফাহাদের দাদা, বাবা, চাচা ও আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারত করেন। কবর জিয়ারত শেষে তার বাবা ও আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ভিসি মহোদয় ঢাকায় ফিরে যান এবং পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসক, কুষ্টিয়াসহ অন্যান্যরা কুষ্টিয়া ফিরে আসেন। কিছু কিছু গণমাধ্যম পুলিশ সুপার কুষ্টিয়ার উদ্ধৃতি দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির লক্ষে প্রচার করছে যে, আবরার ফাহাদের পরিবার জামাত-শিবির।
এছাড়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়- কিন্তু পুলিশ সুপার কুষ্টিয়া মহোদয় সেখানে কোনো বিষয়ে বক্তব্য প্রদান করেননি। কিছু স্বার্থান্বেষী মহল অতিরঞ্জিত করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল ও পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য এসব মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে, যা অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত।
প্রসঙ্গত, রবিবার (৬ অক্টোবর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরে বাংলা হলে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। নিহত ফাহাদ বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শের-ই বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।