আমিও আবরার হত্যার বিচার চাই , আসামির মা বললেন

ন্যাশনাল ডেস্ক : আবরার হত্যাকাণ্ডের বিচার চাচ্ছেন খুনিদের পরিবারের সদস্যরাও। আবারার হত্যার বিচার দেখতে চায় পুরো দেশবাসি। গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা আছেন রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে। গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত তাঁদের দেখতে মা-বাবা, ভাই-বোন কিংবা পরিবারের অন্য কোনো সদস্যকে ডিবি কার্যালয়ে আসতে দেখা যায়নি।

মামলার ৯ নম্বর আসামি ইশতিয়াক আহমেদ মুন্নার মা কুলসুমা আক্তার শেলি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমিও আবরার হত্যার বিচার চাই।’

হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের বাসিন্দা ইশতিয়াক আহমেদ মুন্না মামলার ৯ নম্বর আসামি। তিনি ছাত্রলীগ বুয়েট শাখার গ্রন্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক। তাঁর মা কুলসুমা আক্তার শেলি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার ছেলেকে পুলিশ আটক করেছে সন্দেহজনকভাবে। আমার ছেলে এমন বর্বর হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রশ্নই আসে না। আজ আবরারের স্থলে আমার ছেলে মারা গেলেও আমি পুত্রহারা হতাম। আমি এ হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার দাবি করছি।’

আরেক আসামি রাজবাড়ী জেলা শহরের ইফতি মোশাররফ সকালের বাবা মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে কথা হলে তিনি চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে বলেন, বুয়েটের মতো একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একজন সন্তানকে পড়াতে মা-বাবাকে কতটা ত্যাগ স্বীকার করতে হয়, তা ওই ত্যাগ যাঁরা করেন তাঁরাই ভালো জানেন। তিনি বলেন, ‘সকাল অমন ছেলে নয়। ওকে বাধ্য করা হয়েছে। তবে যেই এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকুক না কেন, তার সঠিক বিচার হোক।’

তাঁর পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, সকাল এলাকায় ভদ্র, বিনয়ী, সামাজিক ও পড়ুয়া হিসেবে সবার কাছে পরিচিত। তাঁরা বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘যে ছেলে মুরগি জবাই করতেও ভয় পায়, সে কিভাবে এমন ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে’ তা তাঁরা ভাবতেও পারছেন না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিবির যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম কলের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমাদের কাছে কেউ আসেনি আসামিদের সঙ্গে দেখা করতে। এ ছাড়া রিমান্ডে থাকা আসামিদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগও নেই।’

আবরার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ১৪ জনকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রতিদিন রাতে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বৃহস্পতিবার পুরো রাতও তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। হত্যাকাণ্ডে জড়িত ১৮ জনকে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এর মধ্যে হত্যাকাণ্ডের পরদিন গ্রেপ্তার হন ১০ জন। তাঁদের ডিবিতে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এর মধ্যে তিন দিন পার হলেও গতকাল পর্যন্ত তাঁদের দেখতে পরিবারের কেউ মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে আসেননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *