অর্থমন্ত্রী : রাজস্ব আহরণে প্রয়োজনে ১ লাখ লোক নিয়োগ !

ন্যাশনাল ডেস্ক : অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, রাজস্ব আহরণে প্রয়োজনে নতুন করে এক লাখ লোক জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) নিয়োগ দেওয়া হবে।

রবিবার (১৩ অক্টোবর) রাজধানীর সেগুন বাগিচার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করেই চলতি বছরের রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কোন কিছু আপনাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়নি। এটি অর্জন করতে হবে। কোনো টালবাহানা চলবে না।

অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশে চার কোটি মানুষের আয়কর দেওয়ার সামর্থ্য রয়েছে। তাদের চিহ্নিত করে করের আওতায় আনুন। কর না দিলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হোন। প্রয়োজনে নতুন করে ১ লাখ লোক নিয়োগ দেওয়ার ব্যবস্থা করুন।

অন্যদিকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ। রবিবার দুপুরে সংস্থাটির পরিচালকদের সৌজন্যে দেয়া মধ্যাহ্নভোজে একথা জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

অর্থমন্ত্রী বলেন, এডিবির প্রতিনিধিরা রোহিঙ্গা সমস্যার বিষয়টি প্রতিনিধিত্ব করবেন। রোহিঙ্গারা কীভাবে এখানে বসবাস করছেন, তাও তারা দেখবেন। আমরা তাদেরকে অনুরোধ জানিয়েছি, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে। আমরা তাদেরকে জানিয়েছি, রোহিঙ্গা সত্যিই আমাদের সমস্যা করছে। কারণ বিশ্বে জনসংখ্যার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশে। আমরা তাদেরকে অনুরোধ জানিয়েছি বিষয়টির পক্ষে কথা বলার জন্য এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য। কারণ তারা এমন একটা প্লাটফর্মে কাজ করেন যেখানে সবাই রয়েছে।

সফররত এডিবি পরিচালকদের সাথে মধ্যাহ্ন ভোজের আগে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন অর্থমন্ত্রী। বাংলাদেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার জন্য এডিবির প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানান তিনি।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকারকে সমর্থন দেবার কথা জানিয়েছেন এডিবি প্রতিনিধিদল। এডিবির বোর্ড অব গভর্নর মিটিং শেষ করে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন কানাডা, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, নরওয়ে ও সুইডেনে নিযুক্ত এডিবির নির্বাহী পরিচালক ক্রিস পান্ডে।

ক্রিস পান্ডে বলেন, মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে যারা অবস্থান নিয়েছে, তাদেরকে নিজ ভূমিতে ফিরে যেতে আমরা খুব দ্রুত পদক্ষেপ নেব। এটাকে আমরা সত্যিই গুরুত্ব দিচ্ছি। তিনি বলেন, এডিবির উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যাবে। আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ হচ্ছে রোহিঙ্গাদের বিষয়টি নিয়ে কাজ করা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *