কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার মিরপুরে জমাজমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দু’ক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০জন আহত হয়েছে। রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার বলিদাপাড়া এলাকায় সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ এবং প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, মিরপুর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের বলিদাপাড়া গ্রামের ইব্রাহিম আলী প্রামানিকের সাথে একই এলাকার হায়দার আলীর মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো। এরই জের ধরে সকালে হায়দার আলীর লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে মশান বাজারে ইব্রাহিম প্রামানিক গ্রপের সেকেন আলীর উপর হামলা চালায়। এসময় দু’পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। ঘন্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে উভয়পক্ষের লোকজন একে অপরের উপর হামলা, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। সংঘর্ষে হায়দার আলী গ্রুপের হায়দার আলী (৫৫), শাজাহান খান (৩৫), শহিদুল ইসলাম (৩৫) এবং ইব্রাহিম গ্রপের সেকেন আলী ৩৫), দাউদ আলী (৩০) ও ইনু (২০) সহ উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। সংঘর্ষের খবর পেয়ে মিরপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহতদের উদ্ধার করে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠনো হয়। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ইব্রাহিম আলীর ছেলে ইউসুফ জানান, কয়েকদিন আগে রাস্তার পাশের মাটি কেটে বাড়ীর সামনে নিচ্ছিলেন হায়দার আলী ও তার ছেলে শহিদুল ইসলাম। এসময় আমরা তাদেরকে বাঁধা প্রদান করি। কিন্তু তারা বাবা ছেলে মিলে আমাদের মারতে উদ্যোত হয়। এসব বিষয় নিয়ে আজ সকালে আমার এক চাচাতো ভাইকে মারধোর করে। এরই জের ধরে আজ সকালে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। অন্যদিকে একটি সুত্রে জানা গেছে, হায়দার আলী তার বাড়ীর চারিপাশে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে আশপাশ এলাকার প্রতিবেশীদের ছবি ধারন করে তা আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আপলোড করতো। এ নিয়েও বেশ কয়েকবার সমঝোতার চেষ্টা করলেও তা মানতো না হায়দার আলী ও তার পরিবার।