এক দশকে হাজারের বেশি হল বন্ধ

বিনোদন ডেস্ক : এক দশক আগেও দেশে সিনেমা হল ছিল ১৩শ। বন্ধ হতে হতে সে সংখ্যা এখন নেমেছে দেড়শতে। আর এ তালিকায় সবশেষ সংযোজন কাকরাইলের রাজমণি ও রাজিয়া সিনেমা হল। মালিক আহসানুল্লাহ মণি বলছেন, ক্রমাগত লোকসানে চালু রাখা যাচ্ছে না হলটি। সেখানে তৈরি হচ্ছে ২২তলা একটি ভবন। বিপরীতে হল ভেঙ্গে হওয়া বহুতল ভবনে মাল্টিপ্লেক্স বাধ্যতামূলক করার দাবি জানাচ্ছেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা।

রাজমণি সিনেমা হলের গেটে মন ভার করে বসে গেট কিপার সাত্তার কাজী। জীবনের ৩৭টি বছর যে হলে পার করেছেন সেটি চোখের সামনে বন্ধ হতে দেখে এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না। জানেন না কী করবেন কোথায় যাবেন তাও।

১৯৮৩ সালে কামাল আহমেদের লালু-ভুলু সিনেমার মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু হয় এক হাজার আসনের হলটির। এক সময় প্রায় ৪০টি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের অফিস ছিল এই ভবনে।

একে কেন্দ্র করেই আশির দশকে গড়ে ওঠে ঢাকার সিনেমাপাড়া। হলটি বন্ধ হয়ে যাওয়া যেন সাক্ষ্য দিচ্ছে বাংলা ছবির ভগ্নদশার।

চলচ্চিত্র পরিবেশকরা বলছেন, ২০০১ সালের পর ঢাকাই ছবিতে অশ্লিলতা প্রবেশে ক্রমান্বয়ে দর্শক হারিয়েছে হল, তাদের আর হলমুখি করা যায়নি। পাশাপাশি, আধুনিক ধারার সিনেমা তৈরি না হওয়াকেও দর্শক বিমুখতার কারণ বলছেন তারা।

তবে প্রযোজকদের দাবি হলে সিনেমা দেখার পরিবেশ না থাকায় মুখ ফিরিয়েছে দর্শক।

সিনেমা হল ভেঙ্গে তৈরি হওয়া বহুতল ভবনে মাল্টিপ্লেক্স হল তৈরি বাধ্যতামূলক করার দাবিও জানাচ্ছেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, সেটি না হলে সিনেমা দেখানোর জন্য কোনো জায়গাই অদূর ভবিষ্যতে আর থাকবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *