বিনোদন ডেস্ক : নানা আলোচনা-সমালোচনা সত্ত্বেও মুক্তির পর থেকেই একের পর এক রেকর্ড গড়ে চলেছে ডিসি কমিকসের ছবি ‘জোকার’। উদ্বোধনী সপ্তাহে কেবল যুক্তরাষ্ট্রেই ছবিটি ১০ কোটি ডলার আয় করে নেয়ার পর, দ্বিতীয় সপ্তাহেও এটি আয় করেছে সাড়ে ৫ কোটি ডলারেরও বেশি। শুধু তাই নয়, বিশ্বব্যাপী ছবিটির আয় ছাড়িয়েছে ৫৫ কোটি মার্কিন ডলার। এতকিছুর পরও বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে ছবিটির গল্প। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কাও করছেন খোদ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
জোকার, একজন স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান, মানুষকে হাসানো বা বিনোদন দেয়াই যার মূল কাজ। বিনিময়ে মানুষের ভালোবাসা আর সম্মানের পরবর্তে মেলে অবেহলা আর অশ্রদ্ধা। একসময় মানসিক ভারসাম্যহীন এক ভয়ঙ্কর সিরিয়াল কিলার হয়ে ওঠে সে। পুলিশের চোখে যে সমাজের নৃশংস অপরাধী। এমনই কাহিনী নিয়েই নির্মান করা হয়েছে ‘জোকার’ চলচ্চিত্রটি। মুক্তির পর থেকেই ছবিটি বিশ্বব্যাপী সগৌরবে ব্যবসা করে চললেও চলচ্চিত্রবোদ্ধাদের নানা আলোচনা-সমালোচনার শিকার জোকার।
ছবিটির গল্পে যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাদী সমাজব্যবস্থাকে তুলে ধরায় সমাজে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা তাদের। অনেকেই বলেন, ছবিটির গল্পে সমাজ যেভাবে জোকারকে অপরাধী হতে বাধ্য করেছে, তাতে এদেশের তরুণ সমাজ প্রভাবিত হলেও হতে পারে। যা সত্যিই উদ্বেগের। ছবিটি দেখার পর থেকে রাস্তায় বের হলেই আমার মনে হচ্ছে কেউ হয়তো জোকার সেজে এখনি গুলি চালাবে।
যদিও এমন আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে অনেকেই আবার বলছেন, ছবিটিকে কেবল স্রেফ একটি ছবি হিসেবে বিবেচনা করতে।
তবে ছবিটিকে নিয়ে যতই আলোচনা-সমালোচনা হোক না কেন, ছবিটির পক্ষে সাফাই গেয়েছেন এর পরিচালক টড ফিলিপস।
এদিকে, জোকার চলচ্চিত্র মুক্তির পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। হলগুলোতে নেয়া হয়েছে বাড়তি নজরদারি।
এর আগে, ২০১২ সালে কলোরাডোর অরোরা শহরের একটি হলে ব্যাটম্যান সিরিজের ডার্ক নাইট ছবি প্রদর্শনের সময় বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হন অন্তত ১২ জন। ওই ঘটনায় হতাহতের স্বজনদের অনুরোধে তাই এবার অরোরায় প্রদর্শন বন্ধ রাখা হয়েছে জোকার ছবিটির।