পিয়ারপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উৎসবমূখর সম্মেলন

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : দৌলতপুরকে শান্তির আবাসভূমি করতে চাই
বিএনপির মত নির্যাতনের দূর্গ চাই না
—–অ্যাড. আঃ কাঃ মঃ সরওয়ার জাহান বাদশাহ্ এমপি
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উদ্যোগে গতকাল বিকেলে কামালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জননেতা আঃ কাঃ মঃ সরওয়ার জাহান বাদশাহ্ এমপি। প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও দৌলতপুর উপজেলা সম্মেলনের সমন্বয়ক প্রকৌশলী ফারুক উজ জামান। উদ্বোধন করেন দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আফাজ উদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক আলহাজ¦ এড. হাসানুল আসকার হাসু, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আলহাজ¦ রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব, নির্বাহী সদস্য লিয়াকত আলী. দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আলহাজ¦ রেজাউল হক চৌধুরী, দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এড. শরীফ উদ্দিন রিমন।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন দৌলতপুর উপজেলা চেয়ারম্যান এড. এজাজ আহমেদ মামুন, ভাইস চেয়ারম্যান শাক্কির আহমেদ মালিথা, দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক অধ্যক্ষ ছাদিকুজ্জামান সুমন, পিয়ারপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবু ইফসুফ লালু। সভাপতিত্ব করেন পিয়ারপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফজলুল ।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জননেতা আঃ কাঃ মঃ সরওয়ার জাহান বাদশাহ্ এমপি বলেন, আওয়ামীলীগ বঙ্গবন্ধুর সংগঠন, আওয়ামীলীগ শেখ হাসিনার সংগঠন। এই সংগঠনের নেতা কর্মীরা সৎ, আদর্শিক এবং দেশপ্রেমিক। দৌলতপুরে বিএনপি নেতা পচা মোল্লা ও বাচ্চু মোল্লার ক্যাডার বাহিনীর হাতে মা-বোনেরা পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীর মাঠের ফসল কেটে নিয়েছে, ঘরে আগুন দিয়েছে। মিথ্যা মামলায় জেলে পাঠিয়েছে। নিমর্মভাবে গুলি করে, পিটিয়ে হত্যা করেছে। হাজার হাজার নেতা কর্মী বাড়ি ছাড়া, এলাকা ছাড়া করেছিলো। আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা কত ভাল যে বিএনপির একজন নেতাকর্মীও হামলা মামলার শিকার হয়নি। কারণ বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকেরা আইনে শাসনে বিশ^াসী। প্রতিশোধের রাজনীতিনে বিশ^াসী নয়। আওয়ামীলীগ ২১ বছর পর জনগনের ভোটে ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করেছে। আমরা যদি প্রতিশোধ নিতে চাইতাম অনেক আগেই সারাদেশে আওয়ামীলীগের কর্মীরা একমুঠো করে ধুলো নিক্ষেপ করলে বঙ্গবন্ধুর খুঁনিরা ধুলার পাহাড়ের নীচে চাপা পড়ে মারা যেত। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ ছিলো আইন হাতে তুলে নেওয়া যাবে না।
বাদশাহ্ এমপি আরও বলেন, আমাদের অভিভাবক আছে। জননেতা মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি। তিনি আমাদের দেখ-ভাল করেন। দৌলতপুরের মানুষের উন্নয়নের কথা ভাবেন। এই এক সময়ের নির্যাতনের শিকারভুমি এই দৌলতপুরকে আমি শান্তির আবাসভূমি করতে চাই। অনুপ্রবেশকারী, হাইব্রিডদের বিদায় করবো। সম্মেলনের মাধ্যমে ত্যাগী এবং পরীক্ষিতদের মুল্যায়ন করবো।
প্রধান বক্তা জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও দৌলতপুর উপজেলা সম্মেলনের সমন্বয়ক প্রকৌশলী ফারুক উজ জামান বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। এক সময় মিসকিন রাষ্ট্র, তলাবিহীন ঝুড়ির সাথে তুলনা করেছিলো যারা সেই তারাই আজ বাংলাদেশকে বিশে^র কাছে উন্নয়নের রোল মডেল ঘোষণা দিচ্ছে। নিজেদের অর্থায়নে হচ্ছে পদ্মা সেতু। জননেত্রী শেখ হাসিনা ভিশন ৪১ এর মধ্যে সীমাবদ্ধ নন। তিনি এই দেশকে এগিয়ে নিতে ১০০ বছরের ডেল্টা প্ল্যান ঘোষণা করেছেন। তিনি আরও বলেন, অনুপ্রবেশকারী আর পরগাছায় ক্ষেত খেয়ে ফেলছে। তাই সম্মেলনের মাধ্যমে এই সকল পরগাছামুক্ত করা হবে আওয়ামীলীগকে। আপনারা তৃনমুল থেকে দলকে আগাছামুক্ত করুন।
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন কাউন্সিল অধিবেশনের প্রধান অতিথির দায়িত্ব পালন করেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও দৌলতপুর উপজেলা সম্মেলনের জেলা আওয়ামীলীগ থেকে দয়িত্বপ্রাপ্ত সমন্বয়ক প্রকৌশলী ফারুক উজ জামান। দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আফাজ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এড. শরীফ উদ্দিন রিমনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন জননেতা আঃ কাঃ মঃ সরওয়ার জাহান বাদশাহ এমপি, সাবেক এমপি রেজাউল হক চৌধুরী। কাউন্সিল অধিবেশনে সভাপতি পদে ৫ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৬টি প্যানেল পড়ায় নেতৃবৃন্দ দলে তাদের ত্যাগ, পারিবারিক রাজনৈতিক অবস্থানসহ সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে নেতা-কর্মীদের সাথে বসে কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে জানান। উপস্থিত সকলে স্বতস্ফুর্তভাবে এই প্রস্তাব মেনে নেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *