শয়তানের ঘনিষ্ঠ সহচর মোহাম্মদ বিন সালমান !

অনলাইন ডেস্ক : সউদী আরকের শীর্ষ আলেমদের সংগঠন ‘হাইয়াতু কিবারিল ওলামা’ বা সর্বোচ্চ ওলামা পরিষদের অন্যতম সদস্য ও রাজদরবারের উপদেষ্টা শায়েখ আব্দুল্লাহ আল মুতলাক ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে শয়তানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলে মন্তব্য করেছে। এ মন্তব্য করেছেন। তুরস্কভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ইয়েনি শাফাক অ্যারাবিক এ খবর জানিয়েছে।
শায়েখ আব্দুল্লাহ আল মুতলাকের এই বিষয়ের একটি অডিওক্লিপ শুক্রবার ‘তাফরিত’ নামের একটি টুইটার অ্যাকাউন্টে ছড়িয়ে পড়ে।
শায়েখ আব্দুল্লাহ আল মুতলাক বলেন, বিন সালমান শয়তানের ঘনিষ্ঠ, মাঝেমধ্যে তার সান্নিধ্যে যান। গানের কনসার্টে যাওয়ার হুকুম প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তর প্রদানকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।
অডিওক্লিপে তাকে আরও বলতে শোনা যায়, যেসব স্থানে কোনো হারাম বা নিষিদ্ধ বস্তুর উপস্থিতি রয়েছে, একজন মুসলিম আরেক মুসলিমকে সেদিকে পথ দেখাতে পারে না: বরং তার কর্তব্য তো মুসলিমকে এমন পথের সন্ধান দেয়া, যেখানে গেলে ইমান বৃদ্ধি পায় এবং দ্বীন মজবুত হয়।
বিনোদন ও কনসার্ট আয়োজকদের উদ্দেশ্য করে শায়েখ আব্দুল্লাহ বলেন, সউদী জনগণের আলাদা সম্মান রয়েছে। তারা হারামাইন শরিফাইনের দেশের সম্মানিত নাগরিক। গোটা মুসলিমবিশ্বে এই দেশের রয়েছে স্বতন্ত্র মর্যাদা। এ জন্য আমি আপনাদেরকে সুস্থ সংস্কৃতি ও বিনোদন আয়োজনের আহবান জানাচ্ছি। বিনোদন সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বিনোদনকে ইসলাম মুসলমান এবং এই দেশের পরিবেশ উপযোগী রূপায়ণের লক্ষে কাজ করুন। সউদী আরব মুসলিম বিশ্বের নেতৃত্বের আসনে সমাসীন, সবার কাছে তাদের আলাদা মর্যাদা রয়েছে, এ জন্য জনগণের উপযোগী সংস্কৃতি আমদানি করুন। এক্ষেত্রে আপনারা দেশপ্রেমিক শিক্ষাবীদদের পরামর্শ নিলে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবেন।
শায়েখ আব্দুল্লাহ বলেন, মানুষের বিনোদন প্রয়োজন, তবে এমন বিনোদন প্রয়োজন নয়; যা শয়তানের নিকটবর্তী করে এবং আল্লাহ থেকে দূরে সরিয়ে দেয়। সুতরাং আমাদের দেশে এমন বিনোদন আমদানি করা যেতে পারে যা আল্লাহর নিকটবর্তী হতে সহায়ক হয়। অথচ সউদী আরবে বর্তমানে বিনোদনের নামে যা হচ্ছে তা ইসলামি শিক্ষার পরিপন্থী।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, গত হজ মৌসুমে জেদ্দায় মার্কিন পপ গায়িকা নিকি মিনাজকে নিয়ে কনসার্ট আয়োজনের পরিকল্পনাসহ বিন সালমানের আরো কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্যই সউদী আরবের বিশিষ্ট এই আলেম তার সমালোচনা করে এই মন্তব্য করেছেন। তবে সউদীর অভ্যন্তরে যুবরাজের এ রকম সমালোচনা সত্যিই অকল্পনীয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *