Site icon দেশের পত্রিকা – দেশের পত্রিকা দেশের কথা বলে

বেনাপোলের বাসিন্দারা প্রচন্ড ধুলা-বালিতে নিঃশ্বাস নিতে পারছেন না

ইকরামুল ইসলাম বেনাপোল প্রতিনিধি : প্রচন্ড ধুলা-বালিতে নিঃশ্বাস নিতে পারছেন না বেনাপোলের বাসিন্দারা। শুধু বেনাপোলের বাসিন্দারা নয় এই শহরে আগত ভারত ও বাংলাদেশের হাজার হাজার মানুষও পড়ছে বিড়ম্বনায়। প্রতিদিন বেনাপোল চেকপোষ্ট থেকে পৌর শহরের দীর্ঘ পথ ধুলা আর বালিতে আচ্ছন্ন হয়ে থাকায় এই পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে। ঢাকা-কোলকাতা এসিয়ান মহাসড়কের বেনাপোল-যশোর সড়কের উন্নয়ন কাজ শুরু হয়েছে প্রায় এক বছর আগে। সমস্ত রাস্তা খুড়ে নতুন করে নির্মানের এই কাজের জন্য বালি, মাটি, খুয়া, পাথর ফেলানো হয়েছে রাস্তা জুড়ে। আর এই রাস্তায় সকল প্রকার যন্ত্র চালিত যানবাহন চললেই রাস্তাই ধুলায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। যে কারনে মানুষ স্বাভাবিক ভাবে নিঃশ্বাস নেওয়ার পরিবেশ থাকে না। সুস্থ ও সবল মানুষও কাশতে কাশতে শ্বাস কষ্টে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বেনাপোল শহরের রাস্তার দু’ধারের দোকানপাট সব কিছুই ধুলা বালির কারনে খাদ্য সামগ্রীতেও রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে।
সরজমিনে দেখা গেছে, সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শত শত মানুষ ট্রাকসহ বিভিন্ন যন্ত্র চালিত যানবাহনে বেনাপোলে আসছে। তেমনি যাচ্ছে পন্যবাহী শত শত ট্রাক, যাত্রীবাহী বাস। যান চলাচলের সময় রাস্তার ধুলা উড়ে ঘন কোয়াশায় পরিনত হচ্ছে। তখন বাস বা ট্রাকের পিছনে কোন কিছুই দেখা যাচ্ছে না।
স্থানীয় চিকিৎসকরা বলছেন, এই ধুলা বালির পরিবেশের কারনে প্রতিটি নিশ্বাসে মানুষের দেহে শত শত রোগের জীবানু প্রবেশ করছে। আর যারা এ্যাজমা বা এলার্জি রোগে আক্রান্ত তাদের জন্য মৃত্যুময় পরিবেশ তৈরী হয়েছে। ধুলা-বালিতে আক্রান্ত বেনাপোল শহরের মানুষ বলছে রাস্তার উন্নয়ন কাজ যত দিন শেষ না হয় ততদিন পানি দিয়ে ভিজিয়ে চলাচলের উপযোগী করা জরুরী।
এ ব্যাপারে বেনাপোলের বিশিষ্ঠ সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী শান্তা এন্টার প্রাইজ এর মালিক মতিয়ার রহমান বলেন, এ বছর বৃষ্টি কম। যে কারনে বেনাপোল টু যশোর সড়কটি নির্মানাধীন রাস্তায় প্রচুর পরিমানে ধুলা বালি থাকায় রাস্তায় সাধারন চলাচলে চরম ভাবে অসুবিধা হচ্ছে। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত অবধী যন্ত্র চালিত যানবাহন চলায় দোকান, অফিসে ধুলোর স্তর পড়ে যাচ্ছে। যে কারনে শ্বাস কষ্ট বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি বলেন, বেনাপোল শহর ছোট হলেও অনেক লোকের বাস। ধুলা বালির কারনে এ সমস্থ লোকের চলাচল ও ব্যবসা বানিজ্যে চরম বিঘিœত হচ্ছে।
এ ব্যাপারে বিশিষ্ট সাংবাদিক আব্দুল মুন্নাফ বলেন, ঠিকাদারের দায়িত্ব অবহেলার কারনে বেনাপোল ধুলার শহরে পরিনত হয়েছে। তিনি বলেন দ্রুত কাজ শেষ করতে হবে। তা না হলে প্রতিদিন ধুলা বন্ধ করতে বেনাপোল শহরে রাস্তায় একাধিক বার পানি দিয়ে রাস্তা ভেজাতে হবে বলে জানান।
এ ব্যাপারে পথচারি, ইজবাইক চালকসহ অনেকের অভিযোগ বেনাপোল মহরের রাস্তায় চলতে অনেক কষ্ট হয়। তারা জানান, রাস্তায় চলতে ঠিকমত নিশ্বাস নেওয়া যায়না। চেখে ধুলা বালি যেয়ে অসুবিধা হয়। রাস্তায় ধুলা বালি থাকলেও ঠিকমত পানি ছিটানো হয়না। বিষয়টি কতৃপক্ষের দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।

Exit mobile version