বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা ফিকার সমর্থন পাচ্ছেন

অনলাইন ডেস্ক : ১১ দফা দাবিতে সব ধরণের ক্রিকেট বয়কট করেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। পারিশ্রমিক বাড়ানো সহ ক্রিকেটারদের যাবতীয় সুবিধা আদায় তাদের লক্ষ্য। ধর্মঘটে যাওয়ার একদিন পরে বিসিবিতে জরুরী সভা হলেও তাতে কোন সুরাহা হয়নি। তবে এ সময়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের পাশে এগিয়ে এসেছে আন্তজার্তিক ক্রিকেটারদের সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনস (ফিকা)। নিজেদের অধিকার আদায়ে একত্রীত হয়ে এমন উদ্যোগ নেওয়ায় উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছে সংগঠনটি।

এক বিবৃতিতে ফিকার এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান টনি আইরিশ বলেছেন, ‘পেশাদার ক্রিকেটারদের ন্যায্য পরিস্থিতি সুরক্ষার জন্য ফিকা বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের একসঙ্গে অবস্থান নেওয়ার প্রশংসা করেছে। চ্যালেঞ্জপূর্ণ পরিবেশ থাকা সত্ত্বেও এটি ঘটেছে। এটা পরিষ্কার যে, ক্রিকেটীয় দেশে খেলোয়াড়দের সাথে যেভাবে আচরণ করা হচ্ছে তার পরিবর্তন প্রয়োজন।’

বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের স্বার্থ রক্ষায় একটি সংস্থা রয়েছে ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)। ফিকার সদস্যও সংস্থাটি। কিন্তু এ সংস্থার সভাপতি ও সহ-সভাপতি দুইজনই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক। এমনকি সেক্রেটারিও বিসিবির বেতন ভুক্ত কর্মচারী। তাই ক্রিকেটারদের দাবি দাওয়া বিসিবিতে উপস্থাপনের স্বচ্ছতা থেকেই যায়। আর এমনটা হওয়ায় উদ্বিগ্ন ফিকাও।

‘এটাও আমাদের কাছে স্পষ্ট যে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা পর্যাপ্ত শ্রদ্ধা পাচ্ছে না। তাদের ক্যারিয়ার এবং জীবিকা নির্বাহে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখছে। খেলোয়াড়দের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি হিসেবে প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভূমিকাও দুশ্চিন্তার বিষয়। আমাদের কাছে উদ্বেগের বিষয় খেলোয়াড়দের জটিল সময়ে ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) সঠিক ভূমিকা পালন করছে না বলে মনে হচ্ছে। আরও উদ্বেগের বিষয় যে কোয়াবের কর্মকর্তারা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পদেও রয়েছেন।’

আর এ সকল কারণেই বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে ফিকা, ‘উল্লেখিত বিষয়গুলির প্রকৃতি নিয়ে চিন্তা করে আমরা বিশ্বাস করি যে, এই সময়ে খেলোয়াড়দের সমর্থন এবং সহায়তা দেওয়া ফিকার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।’ এছাড়া ফিকার আগামী বার্ষিক সভায় কোয়াবের সদস্য পদ নিয়েও পুনর্বিবেচনা করবে সংস্থাটি।

ফিকা ক্রিকেটের একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। ক্রিকেট বিশ্বের সকল পেশাদার খেলোয়াড়দের কার্যক্রমে সমন্বয় সাধন করাই এ সংস্থার প্রধান কাজ। ১৯৯৮ সালে টেক্সাসের অস্টিনে এ সংস্থাটি গঠিত হয়। ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের ক্রিকেটিং প্লেয়িং কমিটিতে’ খেলোয়াড়দের যাবতীয় সমস্যা তুলে ধরে ফিকা।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমী মাঠে সোমবার বিকেল ৩টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে ১১ দফা দাবির কথা জানান সাকিব, তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহসহ দেশের প্রায় সকল খেলোয়াড়রা। ১০ জন খেলোয়াড় নিজেদের দাবি তুলে ধরলেও উপস্থিত ছিলেন প্রায় ৭০ জনের মতো ক্রিকেটার। বেতন ভাতা বৃদ্ধিসহ নানা ধরণের সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর দাবি তুলেছেন তারা। শুধু নিজেদের জন্য নয়, তাদের দাবীতে রয়েছে মাঠকর্মী, আম্পায়ার হতে শুরু করে ফিজিও ও ট্রেইনারদের বেতন বাড়ানোরও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *