Site icon দেশের পত্রিকা – দেশের পত্রিকা দেশের কথা বলে

টাওয়ার অব লন্ডনে ৫০০ বছর আগের কংকাল মিলেছে

অনলাইন ডেস্ক : ৫০০ বছর আগে সমাহিত দু’জনের কংকাল মিলেছে ব্রিটেনের কুখ্যাত টাওয়ার অব লন্ডনে। কংকাল দু’টি ৩৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সী এক নারী ও প্রায় সাত বছর বয়সী এক শিশুর।

লন্ডনের ঠিক কেন্দ্রে অবস্থিত দ্য টাওয়ার অব লন্ডন। যুক্তরাজ্যের রাজ পরিবারের মুকুট সেখানেই সংরক্ষণ করা। রয়েছে তিন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রানি, রাজা অষ্টম হেনরির ছয় স্ত্রীর সমাধিক্ষেত্র।

১০৬৬ সালে নির্মাণ করা হয় ব্রিটেনের কুখ্যাত এই দুর্গ। সেসময় যারা রাজ পরিবারের বিরোধিতা করতেন, তাদের শিরশ্ছেদ করে দুর্গের ভেতর দাফন করা হতো।

সম্প্রতি এক নারী ও এক শিশুর কংকাল পাওয়া গেছে টাওয়ার অব লন্ডনে। ধারণা করা হচ্ছে, ১৪৫০ থেকে ১৫৫০ সালের মধ্যে তাদের সমাহিত করা হয়েছিল।

কয়েক শতাব্দী পর্যন্ত দুর্গটি সামরিক কাজে ব্যবহৃত হয়েছে। অনেক সাধারণ মানুষেরও বসবাস ছিল সেখানে।

হিস্টোরিক রয়্যাল প্যালেসের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মুখপাত্র ক্যাথেরিন স্টিভেনটন বলেন, মধ্যযুগ ও টুডোর শাসনকালের শুরুতে এই দুর্গ ছোটখাট একটা গ্রামের মতো ছিল। এখানে শত শত মানুষ কাজ করতো। একই সঙ্গে, রাজকোষের মুদ্রা প্রস্তুতকারী ও রাজসেনাদের অফিস ছিল। নিজস্ব গির্জা ও রেস্তোরাঁ ছিল এর মধ্যে।

স্টিভেনটন জানান, এতদিন তারা প্রাণীদের কংকাল, ঝিনুক, পুরনো স্থাপত্যের নিদর্শন খুঁজে পেয়েছেন।

দুর্গের সেইন্ট পিটারের গির্জায় পুরনো এক বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রবেশপথ আবার খুলতে খনন কাজ চালান তারা। গির্জার সীমানা ও সমাধিক্ষেত্রের তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে এটি করা হয়। তখন প্রত্নতাত্ত্বিকরা দু’জন মানুষের কংকাল খুঁজে পান। ধারণা করা হচ্ছে, হাজার বছর আগে সেখানে একটি গির্জা ছিল।

এই নারী ও শিশুর কংকাল নিয়ে গবেষণা করা হলে ৫০০ বছর আগে এখানকার মানুষের যাপিত জীবন সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে।

কংকাল দু’টিকে দেখে ধারণা করা হচ্ছে, অসুস্থতাজনিত কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে। তারা অসচ্ছল জীবনযাপন করতেন ও সম্ভবত শ্রমজীবী ছিলেন।

কর্তৃপক্ষ জানায়, কোনো সহিংসতায় তাদের মৃত্যু হয়নি। তবে, তারা রাজদ্রোহী হতে পারেন। সাধারণত রাজদ্রোহের কারণে শাস্তিপ্রাপ্তদের ওই জায়গায় দাফন করা হতো।

গত ১৯ সেপ্টেম্বর গির্জার সমাধিক্ষেত্রে বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কংকাল দু’টিকে ফের সমাহিত করা হয়।

Exit mobile version