ন্যাশনাল ডেস্ক : অবেশেষে দুই পিকআপ ভর্তি টাকার মালিককে শনাক্ত করা হয়েছে। এর আগে এক চালককে শনাক্ত করার পর তার সূত্র ধরে এবার মালিক শনাক্ত হলেন। ঐ দুই পিকআপে ১০০টি প্যাকেটে ১০০ কোটি টাকা ছিল। পিকআপ দুটির শেষ গন্তব্য ছিল ফেনী। সেখানে দুই ভাগে টাকা রিসিভ করা হয়। পিকআপ চালককে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালাচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
গত ১৪ অক্টোবর একজন চালককে শনাক্ত করা হয়। অপর চালককে এখনো পর্যন্ত শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তার মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে। তার ভাগ্যে কী ঘটেছে তাও জানা যায়নি। তাছাড়া পিকআপ দুটিরও সন্ধান মেলেনি।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনো দুর্নীতি বিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার দুই দিন পর দুই পিকআপ ভর্তি টাকা সরানোর লক্ষ্যে ঢাকা থেকে রওয়ানা হয়। এই টাকা কোথায় গেছে, কার টাকা, এখন কী অবস্থায় আছে-এর রহস্য দ্রুত উদ্ঘাটিত হবে বলে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা আশা করেছেন। যেহেতু টাকার মালিককে শনাক্ত করা হয়েছে, তাই সব কিছু উদ্ঘাটন করা এখন আর কষ্ট হবে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর।
সে দিন রওয়ানা হওয়ার পর চৌদ্দগ্রাম পর্যন্ত একজন চালকের মোবাইল নম্বর ট্র্যাকিং করেন গোয়েন্দারা এবং তাকে শনাক্ত করতে সক্ষম হন। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান শুরু করার আগেই তারা ফেনী পৌঁছে যায়। মোবাইল ফোনের ট্র্যাকিংয়ে চালকের অবস্থান ফেনী পর্যন্ত ছিল। সেখানে গিয়ে টাকা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। এ পর্যন্ত গোয়েন্দা কর্মকর্তারা নিশ্চিত হয়েছেন। টাকাটা কে রিসিভ করেছেন তা শিগিগরই শনাক্ত করতে সক্ষম হবেন।
হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করার আগেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান শুরু হওয়ায় দুই পিকআপ ভর্তি টাকা নিয়ে একশ্রেণির দুর্নীতিবাজ নেতা বেকায়দায় পড়েন। সম্প্রতি অভিযানে গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়া ও তার বসের টাকাই সবচেয়ে বেশি।