বিটিআরসি : মনিটরিং সিস্টেম স্থাপন করছে

নিউজ ডেস্ক : মোবাইল ফোন অপারেটরদের নেটওয়ার্কের ওপর নজর রাখতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)  মনিটরিং সিস্টেম’ স্থাপন করতে যাচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ার কাছ থেকে এই স্পেকট্রাম পর্যবেক্ষণের আধুনিক প্রযুক্তি উপহার পাচ্ছে বিটিআরসি।

নেটওয়ার্ক মনিটরিং করার বিষয়ে টেলিযোগাযোগ সেবা ও নিয়ন্ত্রণ কমিশনের এক কর্মকর্তা বলেন  বিটিআরসি মনিটরিং সিস্টেম স্থাপন কাজ শিগগির চালু হবে। বেশিরভাগ কাজ শেষ হয়েছে। গ্রাহক স্বার্থে কাজটি দ্রুতই বাস্তবায়ন করবে কমিশন।

দক্ষিণ কোরিয়ার সেন্ট্রাল রেডিও মনিটরিং সিস্টেম (সিআরএমএস) নামের সংস্থাটি তাদের নিজ দেশের বেতার তরঙ্গ পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি বন্ধু প্রতিম উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করে থাকে।

সেই সহযোগিতা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সম্প্রতি সিআরএমএস সংস্থা সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে একটি স্থায়ী মনিটরিং স্টেশন এবং দুইটি বহনযোগ্য স্টেশন উপহার দেবে। পুরো উপহার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে এরই মধ্যে অনপোম নামের একটি কোরিয়ান কোম্পানিকে দায়িত্ব দিয়েছে সংস্থাটি।

ইতোমধ্যে অনপোমের কর্মকর্তারা বাংলাদেশ ঘুরে গিয়েছেন  এ সময় তারা বিটিআরসির চাহিদা এবং প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কেও ধারণা নিয়ে গেছেন।

জানা যায়  এ বিষয়ে দু’পক্ষের মধ্যে চুক্তি হওয়ার পর আকাশ পথে ঢাকায় মনিটরিং সিস্টেমগুলো পাঠাবে সিআরএমএস সংস্থাটি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন  এই মনিটরিং সিস্টেম পেলে বেতার তরঙ্গ বা স্পেকট্রাম পর্যবেক্ষণে অনেক শক্তিশালী হবে বিটিআরসি।

বর্তমানে কে কার বেতার তরঙ্গের কতটুকু কীভাবে ব্যবহার করছে  সেই সম্পর্কে তুলনামূলক কম ধারণা রাখছে বিটিআরসি। এতে করে অনেক কিছুই বিটিআরসির নিয়ন্ত্রণের বাইরে থেকে যাচ্ছে।

জানা গেছে চলতি বছরের আগামী নভেম্বরে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন এই মনিটরিং সিস্টেমের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতিগুলো পেতে পারে।

এর আগে কলড্রপ একটি বড় সমস্যা উল্লেখ করে ডাক  টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার চরম বিরক্ত প্রকাশ করেন। তিনি কলড্রপের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় কথা বলেই যাচ্ছেন। তিনি বলেন  আমি বিটিআরসিকে কঠোর নির্দেশ দিয়েছি  যেকোনো মূল্যে কলড্রপ বন্ধ করতে হবে। কোয়ালিটি অব সার্ভিস অনুমোদন হয়েছে। এখন এই সার্ভিসের মাধ্যমে অপারেটরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।

মন্ত্রী বলেন  কলড্রপের কারণ হচ্ছে একটি অপারেটরের যতটুকু স্পেকট্রাম থাকা দরকার তা তাদের নেই। আমরা অপারেটরদের কম দামে স্পেকট্রাম দিতে চেয়েছি। কিন্তু তারা তা নেয়নি। তাদের হাতে যে পরিমাণ স্পেকট্রাম আছে তাতে এই বিপুলসংখক গ্রাহককে সেবা দেয়া সম্ভব নয়। তারা নেটওয়ার্ক বাড়ানোর জন্য কয়েক বছর ধরে কোন বিনিয়োগই করেনি। গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করতে কোয়ালিটি অব সার্ভিস নীতিমালা অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এরপরও যদি কোন অপারেটর কোয়ালিটি সার্ভিস দিতে না পারে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা অনেক সুযোগ অপারেটরদের দিয়েছি। কিন্তু তারা কোন সুযোগ না নিয়ে শুধু নিজেদের ব্যবসার কথাই চিন্তা করে যাচ্ছে। বেনিয়াদের মতো টাকা লুটে নিচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *