সুন্দরবনের দিকে আসছে ‘বুলবুল’ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা

অনলাইন ডেস্ক : ঘূর্ণিঝড় ‘আয়লা’র মতোই ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’-ও পাখির চোখ করেছে সুন্দরবনকে। গতকাল মধ্যরাতেই গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে ‘বুলবুল’। ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে এই ঝড়টি। ধেয়ে আসছে সুন্দরবনের দিকে। আশঙ্কা করা হচ্ছে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির। তবে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মহা প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘সিডরের’ মতো ভয়ংকর হবে না।

প্রাথমিক ভাবে বলা হয়েছিল, ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ অভিমুখে এগোবে ঘূর্ণিঝড়টি। বুধবার বলা হয়, ওড়িশা নয়, ঘূর্ণিঝড়টি এগোচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দিকে।

গতিপথের ইঙ্গিত অনুযায়ী, উত্তর অভিমুখে এগোতে এগোতে অতি তীব্র ঘূর্ণিঝড়েও পরিণত হচ্ছে বুলবুল। আগামী রবিবার (১০ নভেম্বর) ঝড়টি আছড়ে পড়তে পারে সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকাতে।

তবে এর প্রভাব বাংলাদেশে বেশি পড়বে না পশ্চিমবঙ্গে, তা স্পষ্ট করে বলতে পারছে না আবহওয়াবিদরা।

বৃহস্পতিবার বিকেলে বুলবুল সংক্রান্ত যে রিপোর্ট আবহাওয়া দপ্তর প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, গত বেশ কয়েক ঘন্টায় সে অনেকটা পথ অতিক্রম করে ফেলেছে। আপাতত সে অবস্থান করছে উড়িষ্যার সাগরদ্বীপের ৬৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ দক্ষিণপূর্বে।

বুলবুলের গতিপথ সম্পর্কে জানানো হয়েছে যে আপাতত সেটি আগামী বারো ঘণ্টায় কিছুটা উত্তরপশ্চিম দিকে এগোবে। তার পর ৯ নভেম্বর সকাল পর্যন্ত সে থাকবে কার্যত উত্তরমুখী। অর্থাৎ, এক্কেবারে সুন্দরবনকে পাখির চোখ করে এগোবে সে। পথে সে আরও অনেকটা শক্তি বাড়িয়ে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়টি কোথায় আছড়ে পড়বে সে ব্যাপারে আবহাওয়া দপ্তর এখনও পরিষ্কার করে কিছু বলতে না পারলেও বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থা ওয়েদার আল্টিমার ইঙ্গিত, ১০ নভেম্বর, রবিবার, বুলবুল সুন্দরবনে আছড়ে পড়তে পরে, সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের দিকে বাঁক নেবে।

সুন্দরবনে আছড়ে পড়ার সময়ে বুলবুলের ঘূর্ণি বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১১৫ থেকে ১২০ কিলোমিটার। অর্থাৎ, ২০০৯ সালে আয়লা ঘূর্ণিঝড়ের যে গতিবেগ ছিল, বুলবুলের গতিবেগ তার থেকে কিছুটা বেশিই হতে পারে।

ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে ভারত-বাংলাদেশের উপকূলবর্তী গ্রামগুলি।

সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *