কুষ্টিয়া শহর আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার ইসলামীয়া কলেজ মাঠে ১২নভেম্বর (মঙ্গলবার) সকাল ১০ঘটিকা কুষ্টিয়া শহর আওয়ামীলীগের আয়োজনে ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জননেতা মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি। তিনি বলেন, সম্মেলন হচ্ছে কর্মীদের মিলন মেলা, শহর আওয়ামীলীগের সম্মেলনে কর্মীদের উপস্থিতি প্রমান করেছে একটা আনন্দ মূখর পরিবেশের মধ্যে সকলে উপস্থিত হয়েছে। কর্মীদের এই মিলন মেলা প্রমান করেছে আওয়ামীলীগ মানেই এমন একটি দল, আওয়ামীলীগ মানেই এদেশের স্বাধীনতা, আওয়ামীলীগ মানেই এদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি, এই দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশে যা কিছু অর্জন হয়েছে সবকিছু আওয়ামীলীগের জন্য সম্ভব হয়েছে। বিগত সময়ে দেশের উন্নয়নে যা কিছু হয়েছে, তা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে, বর্তমানে দেশ যে উন্নত সমৃদ্ধে এগিয়ে যাচ্ছে সেটা বঙ্গকণ্যা প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। হানিফ আরো বলেন, আমাদেরকে গর্ব করে বলা উচিৎ আমরা বঙ্গবন্ধুর সৈনিক, জননেত্রী শেখ হাসিনার কর্মী। আওয়ামীলীগ এদেশের মানুষের আশা ভরসা, অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়েছে আওয়ামীলীগ সরকার। আওয়ামীলীগের উপর দেশের মানুষ আস্থা নিয়ে থাকে, আশা নিয়ে থাকে, ভরসা করতে পারে আওয়ামীলীগ কাউকে ঠকাতে জানে না। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের দোয়ার সকলের জন্য খোলা, কিছু ব্যক্তিদের জন্য আওয়ামীলীগের দরজা বন্ধ আছে, যারা দেশের স্বাধীনতা অর্জনে যুদ্ধবিরোধী ছিলো, যারা সন্ত্রাস, মাদক, দুর্নীতির মত অন্যায় কাজে লিপ্ত রয়েছে তাদের জন্য দরজা বন্ধ। তিনি আরো বলেন, আওয়ামীলীগ গণমানুষের দল, মানুষের আশা আকাঙ্খা পুরন করে আওয়ামীলীগ। ক্যাসিনোর সাথে আওয়ামীলীগের কোন সংগঠনের সম্পর্ক নেই। যারা খারাপ কাজে জড়িত তাদেরকে আওয়ামীলীগে থাকার দরকার নেই, কোন ব্যক্তি অপরাধ করেছে, সে যত বড় মাপের নেতাই হোক তাকে শাস্তি পেতে হবে। কোন অন্যায়কারীর সাথে আওয়ামীলীগ আপোষ করে না। দলে অনু-প্রবেশাারীদের একেক করে ছাটাই করা হবে।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, আওয়ামীলীগের সদস্য এস. এম কামাল হোসেন ও গোলাম রব্বানী চিনু। অনুষ্ঠানের উদ্বোধক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব সদর উদ্দিন খাঁন। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া-১ আসনের সাংসদ আঃ কাঃ মঃ সরওয়ার জাহান বাদশা, কুষ্টিয়া পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক আনোয়ার আলী, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজগর আলী, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী রবিউল ইসলাম, কুষ্টিয়া-১ আসনের সাবেক সাংসদ রেজাউল হক চৌধুরী, কুষ্টিয়া পৌর প্যানেল মেয়র মতিয়ার রহমান মজনু, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি বেগম নুর-জাহান মিনা, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বাবু স্বপন কুমার ঘোষ ও প্রকৌশলী ফারুক-উজ-জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ আমিনুল হক রতন। জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এ্যাড. শেখ হাসান মেহেদী, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আজম, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক খন্দকার ইকবাল মাহমুদ, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আমজাদ হোসেন রাজু, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব, জেলা আওয়ামীলীগ কার্যনির্বাহী সদস্য ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাজহারুল আলম সুমন, কার্যনির্বাহী সদস্য মোমিনুর রহমান মোমিজ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শহর আওয়ামীলীগের সভাপতি তাইজাল আলী খাঁন, সঞ্চালনা করেন শহর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা।

বিশেষ অতিথি হিসাবে আরো উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাড. আ. স. ম. আক্তারুজ্জামান মাসুম, সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান বিশ্বাস, মিরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক কামারুল আরেফিন, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জেবুন নিছা সবুজ, সাধারন সম্পাদক এ্যাড. সামস তানিম মুক্তি, জেলা যুবলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল ইসলাম স্বপন, জেলা যুব মহিলালীগের আহবায়ক এম সম্পা মাহমুদ, সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আবু তৈয়ব বাদশা, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজু, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইয়াছির আরাফাত তুষার, সাধারণ সম্পাদক সাদ আহমেদ, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক আনিচুর রহমান আনিচ সহ সংগঠনের নেতাকর্মী বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রথম অধিবেশন শেষে ২য় অধিবেশনে আগের কমিটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। পরে শহর আওয়ামীলীগের কমিটিতে পুনরায় সভাপতি হয়েছেন তাইজাল আলী খাঁন ও সাধারন সম্পাদক হয়েছেন আতাউর রহমান আতা। উক্ত কমিটির মেয়াদ আগামী ৩বছরের জন্য নির্ধারন করা হয় এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে পূর্নাঙ্গ কমিটি করার নির্দেশনা দেন। অনুষ্ঠান শুরু করার পূর্বে জাতীয় সংগীতের মধ্যে দিয়ে জাতীয় পতাকা সহ দলীয় পতাকা উত্তলন করে সম্মাননা জানায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *