ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে সরব ভারতের রাজনীতি। তবে সময় গড়ার সঙ্গে সঙ্গে কংগ্রেসের একের পর এক অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কি মানুষের সমর্থন হারাচ্ছেন-এটাই যেন এখন ষোলো আনার প্রশ্ন।
গতকাল শুক্রবার লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে শুক্রবার জাতীয় পরিষদের দুদিনব্যাপী বৈঠকের আয়োজন করে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। দিল্লির রামলীলা ময়দানে সম্মিলিত হন দলীয় নেতাকর্মীরা।
গতকালের সম্মেলনে একে একে মঞ্চে আসছিলেন বিজেপির নেতারা। প্রথমে এলেন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান, চলে সামান্য তালি। এরপর এলেন বিজেপির হিন্দুত্ববাদী রাজনীতিবিদ যোগী আদিত্যনাথ, তালি আরও বেশি। এরপর এলেন সাবেক ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আদভানি, তালির গর্জন, সঙ্গে শিস। তবে যখন নরেন্দ্র মোদি এলেন, ঝিমিয়ে গেল তালি। যারা তালি দিচ্ছেন, তারা কিন্তু সকলেই বিজেপির কর্মী।
অথচ সকাল থেকে মোদী-মুখোশ ও জ্যাকেট পরে ঘুরছিলেন নেতারা। তবে স্বয়ং মোদি এসে যখন হাতে পদ্মফুল তুলে নেন, কর্মীদের বিশেষ উৎসাহ দেখা যায়নি। তখন অমিত শাহকে বলতে হলো, ‘জানি দিল্লিতে ঠাণ্ডা পড়েছে, তবু আওয়াজ এত কম কেন?’
পরে প্রদীপ জ্বালাতে যখন আদভানির হাত ধরলেন মোদী, আবার তালি পড়ল। তবে অনেকটা জোর করে আদায় করে নিতে হলো।
এদিকে বিজেপির এই মহাসম্মেলন শুরুর আগেই কর্মীদের মুখে মুখে ঘুরছিল রাহুল গান্ধীর রাফাল-আক্রমণ, চৌকিদার চোর স্লোগান, বিরোধীদের মহাজোট, রাত পোহালে বুয়া-বাবুয়ার জোট ঘোষণা। তাই প্রথম দিনে দেড় ঘণ্টার বক্তৃতায় কী অস্ত্র নিয়ে লড়াইয়ে যাবে বিজেপি, তার থেকে বেশি সময় বিজেপি সভাপতিকে ব্যয় করতে হলো রাহুলের আক্রমণ আর কৌশলের জবাব দিতে। পুরো বক্তৃতায় অন্তত ১২ বার নিতে হরো কংগ্রেস সভাপতির নাম।