
অনলাইন ডেস্ক : কলকাতার আকাশে চাঞ্চল্যকর ঘটনা! আকাশে উড়ছে টাকা। আর তা কুড়াতে ভিড় জমেছে সাধারণের।
জানা যাচ্ছে, বেন্টিক স্ট্রিটের একটি বহুতল থেকে ফেলা হচ্ছে বান্ডিল বান্ডিল টাকা। ৫০০ এবং ২০০০ টাকার নোটের বান্ডিল ফেলা হচ্ছে ওই বহুতল থেকে। এভাবে টাকা উড়তে দেখে পথচলতি মানুষজন দাঁড়িয়ে যান। শুধু দাঁড়িয়ে যাওয়া নয়, রীতিমত আকাশ থেকে ঝড়ে পড়া টাকা কুড়াতে হিড়িক পড়ে যায় সাধারণ মানুষের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য।
ঘটনাটির খবর ছড়িয়ে পড়তেই ওই এলাকায় সাধারণের ভিড় আরও বাড়তে থাকে। তবে টাকা কোথা থেকে এল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন? এই টাকার উৎস কি? শুরু হয়েছে নানা জল্পনা। যদিও এই বিষয়ে কেউ কিছু জানাতে চাইছেন না। সবার মুখ বন্ধ। কোন আতঙ্কে কেউ মুখ খুলতে চাইছেন না তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। দুপুর আড়াইটের সময় চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা যাচ্ছে।
বুধবার দুপুরে দেখা যায় একটি বহুতল থেকে ফেলা হচ্ছে টাকা। উপর থেকে পড়ছে বান্ডিল বান্ডিল টাকা। ঘটনাটি ঘটেছে ২৭ নম্বর বেন্টিঙ্ক ষ্ট্রিটে। কে বা কারা ওই টাকা ফেলেছে ,তা এখনও জানা যায়নি। সূত্রের খবর, এই ঘটনা সময় সেখানে হাজির ছিল আয়কর দপ্তরের অফিসাররা। যেখান থেকে ওই টাকার বান্ডিল পড়েছে সেটি একটি কমার্সিয়াল অফিস। বেশ কিছু অফিস রয়েছে ওই বিল্ডিংয়ে।
কথায় আছে কলকাতায় নাকি টাকা উড়ে। এবার সত্যিই কলকাতার আকাশে টাকা ওড়তে দেখা গেল। শুধু ৫০০ , ২০০০ টাকার নোট নয়, ওড়ছে ১০০ টাকার নোটও। বহুতল থেকে ওড়ে আসা টাকা কোড়াতে নিচে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। তবে কারা টাকা ফেলেছে? মুখ খুলতে চাইছেন না নিরাপত্তাকর্মী থেকে ওই আবাসনের বাসিন্দারা।
সূত্রের খবর, আয়কর অভিযানের সময় এই ঘটনা ঘটেছে। সম্ভবত , আয়কর দপ্তরের অফিসারদের হাত থেকে রক্ষা পেতেই ওই টাকা নিচে ফেলা হয়েছে। জানা গিয়েছে,৩ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকা ফেলা হয়েছে।
সূত্রের খবর, আয়কর অফিসারদের চোখে ফাঁকি দিতেই ছয় তলার ওই অফিসের টয়লেট থেকে লাঠি দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে ফেলা হয় টাকার বান্ডিলগুলি।
ওই অফিসে অনেকগুলি বেসরকারি সংস্থার অফিস রয়েছে। তারই একটিতে এদিন দুপুরে হানা দেয় আয়কর দপ্তর।
১৯৯৫ সালের ১৭ ডিসেম্বর পুরুলিয়ার আকাশ থেকে অস্ত্র বৃষ্টির ঘটনা মনে আছে? গোটা রাজ্য, এমনকী ভারতজুড়ে শোরগোল ফেলে দিয়েছিল সেই ঘটনা। মানুষের মনে তৈরি হয়েছিল আতঙ্ক। তবে বুধবার কলকাতায় যা হল, তাতে সাধারণ মানুষের দুশ্চিন্তা তো দূর, বরং অনেকেই পকেট ভারী করে বাড়ি ফিরলেন।
সূত্র: কলকাতা ২৪x৭, এই সময়