ন্যাশনাল ডেস্ক : শিক্ষকদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট (আইডি) নিয়মিত মনিটরিং করে বিধি পরিপন্থি কনটেন্টের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। এছাড়াও আগামী বছর থেকে শিক্ষকদের ডিজিটাল হাজিরা নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
নির্দেশনা বাস্তবায়নে বৃহস্পতিবার সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ এবং সংশ্লিষ্টদের চিঠি পাঠিয়েছে মাউশি।
গুণগত শিক্ষা বাস্তবায়নে দেশের সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষক, ছাত্র এবং কর্মকর্তাদের বেশকিছু সিদ্ধান্ত পরিপালনের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা অধিদপ্তর।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সৈয়দ গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে সম্প্রতি ঢাকায় আর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ‘মানসম্মত শিক্ষা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় নেয়া সিদ্ধান্তের আলোকে এসব নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
গত ১৬ অক্টোবরের ওই সভা থেকে গুণগত শিক্ষা বাস্তবায়নে নির্বাচিত কলেজগুলোতে কনফারেন্স আয়োজন, পিয়ার রিভিউ জার্নাল প্রকাশ, সকল সরকারি কলেজে ছাত্র-শিক্ষক উন্নয়নের জন্য অ্যান্টি বুলিং কমিটি গঠন এবং শিক্ষার্থীদের বেতন অনলাইনে গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছে অধিদপ্তর।
শিক্ষকদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সদ্য যোগদান করা প্রভাষকদের ওরিয়েন্টেশন ট্রেনিং (চাকরি বিধিমালা, ক্লাসে পাঠদান পদ্ধতি, উত্তরপত্র মূল্যায়নসহ বিবিধ বিষয়), সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার, ক্লাসে শিক্ষক উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ ও একাডেমিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য শিক্ষক মূল্যায়ন পদ্ধতি চালুকরণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার এবং করণীয় সংক্রান্ত নির্দেশনায় বলা হয়, মন্ত্রী পরিষদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের গাইডলাইন এবং চাকরির বিধানাবলী অনুসরণ করে শিক্ষকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করবেন।
অধ্যক্ষরা তার প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সব কর্মকর্তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করবেন। কোনো শিক্ষকের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার বিধির ব্যত্যয় ঘটালে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং প্রয়োজনে তদন্ত করে এর প্রমাণকসহ আঞ্চলিক অফিসের মাধ্যমে মাউশি অধিদপ্তরকে অবহিত করবেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মনিটরিংয়ে মাধ্যমিক শিক্ষার আঞ্চলিক পরিচালক, অধ্যক্ষদের এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশ দিয়েছে মাউশি।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীর উপস্থিতি নিশ্চিতকরণের নির্দেশনায় বলা হয়, আঞ্চলিক পরিচালক এবং অধ্যক্ষরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আগামী ছয় মাসের মধ্যে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত এবং অননুমোদিত অনুপস্থিতি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। এ পর্যায়ে অধ্যক্ষরা বিভাগীয় প্রধানদের মাধ্যমে নিয়মিত হাজিরা সংরক্ষণ করবেন।
যদি হাজিরা নিশ্চিত না করা যায়, তাহলে আগামী বছরের জুনের মধ্যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল হাজিরা চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করবেন আঞ্চলিক পরিচালক এবং অধ্যক্ষরা।