আয়কর মেলায় কর আদায় হয়েছে ২৬১৩ কোটি টাকা

ন্যাশনাল ডেস্ক : রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে বৃহত্তর আয়কর ইউনিটের (এলটিইউ) আয়করের আওতাধীন ২১টি প্রতিষ্ঠানের পে অর্ডার হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াসহ অন্যরা

সপ্তাহব্যাপী আয়কর মেলায় ছয় লাখ ৫৫ হাজার ৯৫ জন করদাতা তাঁদের আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন। ২০১৮ কর মেলায় দাখিলকৃত রিটার্নের সংখ্যা ছিল চার লাখ ৮৭ হাজার ৫৭৩। এবার আয়কর মেলায় কর আদায় হয়েছে ২৬১৩ কোটি ৪৬ লাখ ৮৫ হাজার ৬৬৮ টাকা, যা পূর্ববর্তী বছরে ছিল ২৪৬৮ কোটি ৯৪ লাখ ৪০ হাজার ৮৯৫ টাকা।

মেলার শেষ দিনে এক লাখ ১৫ হাজার ১৮৫টি রিটার্ন এবং সংগৃহীত আয়করের পরিমাণ ৫৯৭ কোটি এক লাখ ৬৪ হাজার ৫৪৮ টাকা। এবারের মেলার বিশেষ আকর্ষণ ছিল মোবাইল ব্যাংকিং সুবিধা। এ ছাড়া ই-পেমেন্টের মাধ্যমে করদাতারা রকেট, নগদ, বিকাশ, ইউপে শিওর ক্যাশ, ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে তাঁদের আয়কর জমা দিতে পেরেছেন। আয়কর মেলার সাত দিনে ই-পেমেন্টে ছয় হাজার ৪২০ জন সেবাগ্রহণকারী চার কোটি ৫৯ লাখ টাকা কর প্রদান করেছেন।

আয়কর মেলার শেষ দিন গতকাল বুধবার বৃহত্তর করদাতা ইউনিট (এলটিইউ) থেকে ২১টি প্রতিষ্ঠান ২৯৩ কোটি টাকা রাজস্ব দিয়েছে।

দুপুরে অফিসার্স ক্লাবে বৃহত্তর আয়কর ইউনিট (এলটিইউ)-আয়করের আওতাধীন ২১টি প্রতিষ্ঠান এনবিআর চেয়ারম্যানের হাতে আয়করের পে অর্ডার হস্তান্তর করেন। এ উপলক্ষে আয়কর মেলা প্রাঙ্গণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।

বৃহত্তর করদাতা ইউনিটের ২১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫০ কোটি টাকা কর প্রদান করেছে আইএফআইসি ব্যাংক। ২৫ কোটি টাকা কর দিয়েছে ট্রাস্ট ব্যাংক। আর ২০ কোটি টাকা করে কর দিয়েছে সিটি ব্যাংক, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংক। ১৫ কোটি টাকা দিয়েছে ঢাকা ব্যাংক। স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস দিয়েছে ২০ কোটি টাকা।

এ ছাড়া আরো ৯টি ব্যাংক ১০ কোটি টাকা করে কর প্রদান করেছে এগুলো হলো— ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, মধুমতি ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, পূবালী ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক। এ ছাড়া সাধারণ বীমা করপোরেশন ১০ কোটি টাকা, বেক্সিমকো লিমিটেড দুই কোটি টাকা এবং হেলথ কেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস এক কোটি টাকা দিয়েছে।

এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া কর প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনারা আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে আপনাদের করের একটি অংশ জমা দিয়েছেন। আপনাদের ধন্যবাদ। সামর্থ্যবানদের আয়কর প্রদান করা নৈতিক দায়িত্ব। দেশের উন্নয়নে বেশির ভাগই অভ্যন্তরীণ সম্পদ ব্যবহার করা হয়। আমাদের ডিজিপি প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশের উপরে, এটা ধরে রাখতে হলে কর ডিজিপি বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের কর জিডিপি ১০ থেকে ১১ শতাংশ। ২০২৫ সালে কর জিডিপি ১৫ শতাংশ এবং ২০৩০ সালে ২০ শতাংশ নিয়ে যেতে চাই। এ জন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *