যশোরের মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বখাটের লাথিতে বাবা নিহত

যশোর প্রতিনিধি : মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বখাটের লাথিতে পড়ে গিয়ে আব্দুর রাজ্জাক (৫২) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে যশোর নূতন উপশহরের সারথী মিল এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

এ ঘটনায় পুলিশ হোসেন আলী (৩৩) নামে অভিযুক্ত বখাটেকে হেফাজতে নিয়েছে।

আব্দুর রাজ্জাকের পরিবারের একজন সদস্য জানান, এক বছর আগে আব্দুর রাজ্জাকের ২০ বছর বয়সী কিশোরীর সঙ্গে মালয়েশিয়া প্রবাসী এক ছেলের মুঠোফোনে বিয়ে হয়। বিয়ের পরও কিশোরী বাবা-মায়ের সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকেন। কিন্তু পাশের বাসার হোসেন আলী প্রায়ই কিশোরীটিকে উত্ত্যক্ত করতেন। হোসেন আলী কিশোরীর কিছু ছবি ও অন্য কারোর সঙ্গে তাঁর ফোনালাপ রেকর্ড করেন। এরপর তিনি অপর একজনকে দিয়ে তাঁকে কুপ্রস্তাব দেন। তাঁর প্রস্তাবে রাজি না হলে হোসেন সেই ফোনালাপ ও ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেন। বিষয়টি কিশোরীটি তাঁর বাবা-মাকে জানান। এ নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে কিশোরীর বাবা আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে হোসেনের দ্বন্দ্ব চলছিল। আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বিষয়টা নিয়ে ফের ঝগড়া বাধলে হোসেনকে চড় মারেন আব্দুর রাজ্জাক। এ সময় হোসেন আব্দুর রাজ্জাকের বুকে লাথি মারেন। এতে তিনি পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পান। পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সময় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক কাজল মল্লিক বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই আব্দুর রাজ্জাকের মৃত্যু হয়েছে।

যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘মোবাইল ফোনে মেয়েটির ছবি তোলা নিয়ে বিরোধের কারণে হোসেন আলী আব্দুর রাজ্জাকের বুকে লাথি বা ঘুষি মারেন। এতে তিনি মারা যান। ঘটনার সঙ্গে জড়িত হোসেন আলী পুলিশ হেফাজতে আছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আমাদের তদন্ত চলছে। আব্দুর রাজ্জাকের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে মামলা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *