রবিবার থেকে ১৫ দাবিতে, ৩ বিভাগে পেট্রল পাম্পে ধর্মঘটের ডাক

বগুড়া প্রতিনিধি : জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন বৃদ্ধি এবং ট্যাংক-লরির ভাড়া বাড়ানোসহ ১৫ দফা দাবিতে রবিববার (১ ডিসেম্বর) থেকে দেশের তিন বিভাগে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও ট্যাংক-লরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।

খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সব ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন, পরিবহন এবং বিপণন কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ও রাজশাহী বিভাগীয় সভাপতি মিজানুর রহমান রতন।
শনিবার সন্ধ্যায় সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি এমএ মোমিন দুলাল জানান, সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেবার পরও সরকারের কেউ আমাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করেননি। এ জন্য ১ ডিসেম্বর থেকে ধর্মঘট চলবে। এর আগে দাবি গুলো আদায়ে শুধু খুলনা বিভাগে ধর্মঘট করা হয়েছিল।

দাবি গুলোর মধ্য রয়েছে- জ্বালানি তেল বিক্রির প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে সাড়ে ৭ শতাংশ করা, জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা কমিশন এজেন্ট নাকি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান-বিষয়টি সুনির্দিষ্টকরণ, প্রিমিয়াম পরিশোধ সাপেক্ষে ট্যাংক-লরি শ্রমিকদের পাঁচ লাখ টাকা দুর্ঘটনা বীমা প্রথা প্রণয়ন, ট্যাংক-লরির ভাড়া বাড়ানো, পেট্রল পাম্পের জন্য কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের লাইসেন্স গ্রহণ বাতিল, পেট্রল পাম্পের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের লাইসেন্স গ্রহণ বাতিল, সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃক পেট্রল পাম্পের প্রবেশ দ্বারের ভূমির জন্য ইজারা গ্রহণের প্রথা বাতিল, ট্রেড লাইসেন্স ও বিস্ফোরক লাইসেন্স ব্যতিত অন্য দপ্তর বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক লাইসেন্স গ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিল, বিএসটিআই কর্তৃক আন্ডার গ্রাউন্ড ট্যাংক পাঁচ বছর অন্তর বাধ্যতামূলক ক্যালিব্রেশনের সিদ্ধান্ত বাতিল, ট্যাংক-লরি চলাচলে পুলিশি হয়রানি বন্ধ, সুনির্দিষ্ট দপ্তর ব্যতিত সরকারি অন্যান্য দাপ্তরিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ডিলার বা এজেন্টদের অযথা হয়রানি বন্ধ, বিভিন্ন জেলায় ট্যাংক-লরি থেকে জোরপূর্বক পৌরসভার চাঁদা গ্রহণ বন্ধ করা।

বাংলাদেশ পেট্রল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব মিজানুর রহমান রতন বলেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগ নির্ধারিত পেট্রল পাম্প-সংলগ্ন জমির শতাংশ প্রতি ভাড়া শহরের জন্য ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা ও গ্রামের জন্য ৪০০ থেকে ৯০০ টাকা ছিল। এখন এই ভাড়া বাড়িয়ে শতাংশ প্রতি লক্ষাধিক টাকা করা হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে গ্রামে শতাংশ প্রতি ৪০০ টাকার পরিবর্তে দুই লক্ষাধিক টাকা পরিশোধ করতে হবে।

তিনি বলেন, উল্লেখিত দাবির বিষয়ে সরকারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও শুধু মৌখিক আশ্বাস ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় পেট্রল পাম্প পরিচালনা করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। কারণ এ খাতটি এরই মধ্যে অলাভজনক হয়ে পড়েছে। তাই বাধ্য হয়েই চূড়ান্ত কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *