ফেসবুক বিশাল জরিমানার মুখোমুখি

অনলাইন ডেস্ক: ব্যবহারকারীর তথ্য ব্যবস্থাপনা ও প্রাইভেসি লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ট্রেড কমিশনের (এফটিসি) বিশাল জরিমানার মুখে পড়তে যাচ্ছে ফেসবুক। গত শুক্রবার সূত্রের বরাতে নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ফেসবুক প্রাইভেসি সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘন করেছে কিনা সে বিষয়ে এফটিসি এখন তাদের তদন্তে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। ফেসবুকের কাছ থেকে বিশাল জরিমানা আদায় করতে চায় সংস্থাটি।
এখন পর্যন্ত প্রাইভেসি লঙ্ঘনের অভিযোগে সর্বোচ্চ ২ কোটি ২৫ লাখ মার্কিন ডলার জরিমানা করতে পেরেছে এফটিসি। ২০১২ সালে গুগল ওই প্রাইভেসি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটায়।ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ফেসবুকের জরিমানা গুগলের ওই জরিমানার পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে।

২০১৮ সালের কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারির পর এপ্রিল মাসে মার্কিন কংগ্রেসের শুনানিতে হাজির হতে হয় ফেসবুক প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গকে।

গত বছরের মার্চে মার্কিন সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ফেসবুকের তথ্য বেহাত হয়ে যাওয়ার ঘটনাটি তদন্ত শুরু করে। ২৬ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি) এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করে। ওই সময় ফেডারেল ট্রেড কমিশনের ব্যুরো অব কনজিউমার প্রোটেকশনের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক টম পাহল বলেন, এফটিসি ফেসবুকের প্রাইভেসি চর্চা সম্পর্কে সম্প্রতি প্রকাশিত সংবাদ রিপোর্টগুলোকে খুবই গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। ফেসবুকের এইসব চর্চা নিয়ে আমরা একটি উন্মুক্ত নন পাবলিক তদন্ত শুরু করতে যাচ্ছি।

সিএনএন জানায়, এফটিসি ফেসবুককে প্রশ্ন সংবলিত একটি চিঠি পাঠায়। চিঠিতে সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিটির কাছে জানতে চাওয়া হয়, পাঁচ কোটি ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য কীভাবে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা দলের কাছে গেল।
গত ডিসেম্বর মাসে নিউইয়র্ক টাইমস ফেসবুক বড় বড় প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তথ্য বিনিময় করে বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তাতে ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য নেটফ্লিক্স বা স্পটিফাইয়ের মতো অ্যাপের কাছে দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। ফেসবুক অবশ্য ওই অভিযোগ অস্বীকার করে।

ডিসেম্বরে আরেক প্রতিবেদনে নিউইয়র্ক টাইমস দাবি করে, ফেসবুকের কনটেন্ট সম্পাদকেরা যেসব তথ্যের ওপর নির্ভর করে পোস্ট সরানোর কাজ করেন তা অগোছালো ও সস্তা।

এর বাইরে গত সেপ্টেম্বরে প্রায় ৫ কোটি ব্যবহারকারীর তথ্য বেহাত হওয়ার তথ্য স্বীকার করে নেয় ফেসবুক।

ফেসবুক ও এফটিসির পক্ষ থেকে অবশ্য জরিমানা বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *