খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি ১২ ডিসেম্বর

অনলাইন ডেস্ক : জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা জামিন আবেদনের শুনানি পিছিয়ে ১২ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) নির্ধারণ করেছেন আপিল বিভাগ।

খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা জানিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) থেকে প্রতিবেদন না আসায় শুনানি পিছিয়ে দেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ৬ বিচারপতির বেঞ্চে এ আদেশ দেন।

বিএনপি চেয়ারপারসনের জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ ও আশেপাশে অতিরিক্ত নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিল।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও খন্দকার মাহবুব হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

বিষয়টি নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম জানান, গত ২৮ নভেম্বর আদালতের তলব করা চিকিৎসা প্রতিবেদন প্রস্তুত হয়নি। সময় চাইলে আদালত ১২ ডিসেম্বর দিন নির্ধারণ করেন।

এর আগে গত ২৮ নভেম্বর আপিল বিভাগ বিএসএমএমইউর কাছে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা প্রতিবেদন তলব করে ৫ ডিসেম্বর শুনানির দিন রাখেন।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির যে মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাত বছরের সাজা হয়, এই মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন মিললেও তার কারামুক্তি হবে না। কারণ, তিনি আরও একটি মামলায় (জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা) ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত। এই মামলায়ও তার জামিনের আবেদন আপিল বিভাগে শুনানির অপেক্ষায় আছে। বিএনপির আইনজীবীরা বলছেন, দ্বিতীয় মামলায় জামিন পেলে খালেদা জিয়ার কারামুক্তি হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *