অনলাইন ডেস্ক : ভারতে হু-হু করে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। পেঁয়াজ করল ডাবল সেঞ্চুরি। তামিলনাড়ুর মাদুরাইতে কেজি প্রতি পেঁয়াজের দাম বেড়ে হয়েছে ২০০ টাকা। এর জেরে গত তিন সপ্তাহে মাদুরাইতে ধাপে ধাপে কমেছে পেঁয়াজের ক্রেতার সংখ্যা। একইভাবে পেঁয়াজের দর ২০০-র ঘর ছুঁতেই এক ধাক্কায় ক্রেতা প্রায় ৯০ শতাংশ কমে যাওয়ায় ব্যবসা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। ব্যবসায়ীরা এ কথা জানিয়েছেন।
জানা গেছে, কেবল তামিলনাড়ুতেই নয়, মহারাষ্ট্রের সোলাপুরেও রবিবার প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এর জেরে তিন সপ্তাহ আগেও যে ক্রেতা ৫ কিলো পেঁয়াজ কিনেছেন, তিনি রবিবার বাজারে এসে কিনছেন ৫০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি।
এদিকে, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের বাড়িতে পেঁয়াজ ঢোকেনা বলে তিনি এই বিষয়ে খুব একটা চিন্তিত নন বলে আগেই বলেছেন। তুরস্ক থেকে ১১ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে বলে ইতোমধ্যে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। কিন্তু সেই পেঁয়াজ কবে বাজারে আসবে তা নিয়েই এখন ভারত জুড়ে প্রশ্ন।
বৃহস্পতিবার এশিয়ার বৃহত্তম বাজার লাসালগাঁওয়ে পেঁয়াজ ঢুকেছে মাত্র ৫,২০০ কুইন্টাল (১ কুইন্টাল= ১০০ কেজি)। যেখানে রোজ গড়ে ১২,০০০ থেকে ১৫,০০০ কুইন্টাল পেঁয়াজের জোগান থাকে। এশিয়ার বৃহত্তম এই পেঁয়াজের বাজারে, এখন কুইন্টাল প্রতি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১,০০০ টাকায়। মুম্বাইয়ের ভাশি মার্কেটে কেজি প্রতি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১৪০ টাকায়। সেখানে বাণিজ্যনগরীর খুচরা মার্কেটে পেঁয়াজের দর যাচ্ছে কেজিতে ১৬০ থেকে ১৯০ টাকা। মুম্বাই থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে লাসালগাঁও থেকে গোটা দেশে পেঁয়াজ রফতানি করা হয়।
লাসালগাঁও এগ্রিকালচারাল প্রোডিউস মার্কেট কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান নানাসাহেব পাতিল মনে করেন, অসময়ে বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টির কারণেই বাজারে পেঁয়াজের দাম এত চড়া। বৃষ্টিতে পুরনো মজুত করে রাখা পেঁয়াজ নষ্ট হয়েছে। এমনকি নতুন যে পেঁয়াজ উঠেছিল, বৃষ্টিতে তা-ও পচে নষ্ট হয়েছে। ফলে, বাজারে এখন পেঁয়াজের আকাল।
তাঁর ধারণা, পুরো ডিসেম্বর পেঁয়াজের দাম এমন চড়াই থাকবে। জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে একটু একটু করে কমবে। তবে, পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল হতে হতে ২০২০-র ফেব্রুয়ারি।
তাঁর অভিমত, কেন্দ্রীয় সরকার পেঁয়াজ আমদানি করলেও, বাজারে যে বিপুল চাহিদা, তাতে দামে লাগাম টানা এই মুহূর্তে সম্ভব নয়।
সূত্র : এই সময়