প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আদালত কক্ষে সিসি ক্যামেরা বসছে

ন্যাশনাল ডেস্ক : সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের ওপর শুনানিকে কেন্দ্র করে আইনজীবীদের হট্টগোলের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের এক নম্বর আদালত কক্ষে সিসি ক্যামেরা বসাতে যাচ্ছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। আগামী ১২ ডিসেম্বরের আগেই এ ক্যামেরা বসানো হবে বলে জানা গেছে।

সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। তারা বলেছেন, প্রধান বিচারপতির এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই, অভিনন্দন জানাই।

তবে সুপ্রিম কোর্টের রেজিষ্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর এবং মুখপাত্র মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান।

খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের ওপর শুনানিকে কেন্দ্র করে গত ৫ ডিসেম্বর দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নজীরবিহীন অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মুহুর্মুহু স্লোগান, মাঝে মাঝে সরকার সমর্থক আইনজীবীদের প্রতিবাদের মুখে চরম হৈচৈ-হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। ফলে বিচার কাজ বন্ধ হয়ে যায়

বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘খালেদা, জিয়া; জিয়া, খালেদা’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। এ প্রেক্ষাপটে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ৬ বিচারপতি প্রথম ধাপে এজলাস ত্যাগ করেন। পরবর্তীতে সোয়া এক ঘণ্টার বেশি সময় নির্বিকার এজলাসে বসে থাকেন বিচারপতিরা। আইনজীবীদের এই আচরণে প্রধান বিচারপতি চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ ঘটনায় সারাদেশে সব মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

এ অবস্থায় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন আপিল বিভাগের এক নম্বর বেঞ্চে সিসি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। আদালত কক্ষে যদি কেউ অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটায়, তবে তাদের চিহ্নিত করার লক্ষ্যেই এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ওইদিন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। বহিরাগতরা এবং সুপ্রিম কোর্টে তালিকাভুক্ত নন এমন আইনজীবীরা সেদিন কলঙ্কজনক ঘটনা ঘটায়। এ কারণে যদি সিসি ক্যামেরা বসানোর কোনো সিদ্ধান্ত হয়ে থাকে তবে সেটাকে স্বাগত জানাই। অবশ্যই এটা সঠিক সিদ্ধান্ত।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার এ এম মাহবুবউদ্দিন খোকন বলেন, সেদিন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলরা আপিল বিভাগে উপস্থিত ছিল। তারাও হৈচৈ করেছে। এদের অধিকাংশ জনই আপিল বিভাগে তালিকাভুক্ত নন।

এছাড়াও সরকারি দলের কেউ কেউ কালো কোট পরে আদালতে এসেছিল। তাই বহিরাগতদের চিহ্নিত করতে ও অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে সিসি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তাকে স্বাগত জানাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *