ইলিয়াস কাঞ্চনের চ্যালেঞ্জ শাজাহান খানকে, প্রমাণ চাইলেন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে

অনলাইন ডেস্ক : সাবেক মন্ত্রী ও বর্তমান এমপি শাজাহান খানকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন।

তার বিরুদ্ধে দেওয়া বক্তব্যকে ‘মিথ্যাচার’ উল্লেখ করে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শাজাহান খানকে এর প্রমাণ দিতে বলা হয়েছে।
রবিবার রাতে নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব লিটন এরশাদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই দাবি জানায় সংগঠনটি।

বিবৃতিতে বলা হয়, নিরাপদ সড়ক চাই এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের বিরুদ্ধে শাজাহান খানের মিথ্যাচারে আমরা বিস্মিত, হতবাক এবং তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা মনে করি শাজাহান খান নিরাপদ সড়ক চাই-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন সম্পর্কে জঘন্যতম একটি মিথ্যাচার করেছেন। ‘ইলিয়াস কাঞ্চন কোথা থেকে কত টাকা পান, কি উদ্দেশ্যে পান, সেখান থেকে কত টাকা নিজে নেন, পুত্রের নামে নেন, পুত্রবধূর নামে নেন সেই হিসেবটা আমি জনসম্মুখে তুলে ধরবো।

আমরা ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিচ্ছি। তাকে (শাজাহান খান) এই সময়ের মধ্যে এই তথ্য জাতির সামনে তুলে ধরতে হবে। নতুবা আমরা আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হবো। আমরা মনে করি সমাজের একজন সৎ, নিষ্ঠাবান, জাতীয় পুরস্কার ও একুশে পদকপ্রাপ্ত সম্মানিত মানুষের বিরুদ্ধে শাহজাহান খানের এমন মিথ্যাচার শুধুমাত্র নিজের দুর্বলতা ঢাকার জন্যই বলছেন। তিনি এই মানহানিকর কথা বলেছেন জাতিকে বিভ্রান্ত করার জন্য।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমরা মনে করি সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮কে বাধাগ্রস্ত করতে উদর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপাতে শাহজাহান অবান্তর এসব প্রশ্নের অবতারণা করছেন। আমরা বিশ্বাস করি এদেশের মানুষ এসবের যোগ্য জবাব দিবে।

সেই সঙ্গে উল্টো প্রশ্ন রাখছি পরিবহন সেক্টরে বছরে বিভিন্ন খাতের নামে যে টাকা উত্তোলন (চাঁদা আদায়) করা হয় সেই টাকার কত অংশ শ্রমিকদের কল্যাণে ব্যয় করা হয়েছে, কয়টা প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে শ্রমিকদের দক্ষ করার জন্য, কয়টি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সেবা দেওয়ার জন্য, কয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে শ্রমিকদের সন্তানদের লেখাপড়া শেখানোর জন্য, কয়টি আবাসন পল্লী গড়ে তোলা হয়েছে শ্রমিকদের আবাসনের জন্য, তাদের জীবনমান উন্নয়নে এই টাকার কত অংশ ব্যয় করা হয়?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *