রূপপুর বালিশকাণ্ডে গ্রেপ্তার ১১ প্রকৌশলীসহ কারাগারে ১৩ জন

ন্যাশনাল ডেস্ক : নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে বালিশকাণ্ডসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে পাবনা থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার গণপূর্ত বিভাগের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলীসহ ১১ প্রকৌশলী ও দুই ঠিকাদারকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আজ দুর্নীতি দমন কমিশন আসামিদের আদালতে হাজির করে। তাদের মহানগর হাকিম নিভানা খায়ের জেসির আদালতে নেওয়া হয়। আদালত প্রত্যেককে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

দুইজন ঠিকাদারের পক্ষে আইনজীবীরা জামিনের আবেদন জানান তাদেও আইনজীবীরা। দুদকের আইনজীবী মীর আহমেদ আবদুস সালাম ও মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর জামিনের বিরোধিতা করেন। দুইজনের জামিরেনর আবেদন নামঞ্জুর করেন।

যাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে তারা হলেন, পাবনা গণপূর্ত বিভাগের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলম, উপ-সহকারী প্রকৌশলী সুমন কুমার নন্দী, মোহাম্মদ আবু সাঈদ, মো. জাহিদুল কবির, মো. শফিকুল ইসলাম ও মো. রওশন আলী, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল, মোহাম্মদ তাহাজ্জুদ হোসেন, আহমেদ সাজ্জাদ খান, সহকারী প্রকৌশলী মো. তারেক খান ও মো. আমিনুল ইসলাম এবং ঠিকাদার আসিফ হোসেন ও শাহাদাত হোসেন।

এর আগে গতকাল ঢাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে দুদকের একটি টিম। পৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী কাউকে আটক করার ২৪ ঘন্টার মধ্যে আদালতে হাজির করার বিধান থাকায় প্রত্যেককে ঢাকার আদালতে হাজির করা হয়। আদালত আসামিদের গ্রেপ্তার সংক্রান্ত নথি ও আসামিদের পাবনার সংশ্লিষ্ট আদালতে পাঠানোর নির্দেশও দেন।

এর আগে, গত ৬ নভেম্বর দুদকের প্রধান কার্যালয়ে মোহাম্মদ মাসুদুল আলমসহ ৭ প্রকৌশলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। পরে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে পাবনায় দুদক পৃথক চারটি মামলা দায়ের করে।

উল্লেখ্য, রূপপুরের বালিশকাণ্ড গত কিছুদিন ধরে সারাদেশে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। এরপরই ওই কেন্দ্রের বিভিন্ন দুর্নীতির বিষয় সামনে আসে। তখন দুদক তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয়। বিভিন্ন টেন্ডারের মাধ্যমে সরকারের কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে বলে এসব মামলায় বলা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *