অনলাইন ডেস্ক : বিশ্বের ক্ষমতাধর ১০০ নারীর তালিকায় ২৯তম অবস্থানে আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রভাবশালী ব্যাবসায়িক সাময়িকী ফোর্বস গত বৃহস্পতিবার এই তালিকা প্রকাশ করেছে। গত বছর ফোর্বসের এই তালিকায় ২৬তম ছিলেন শেখ হাসিনা। ২০১৭ সালে ছিলেন ৩০তম।
এবারও তালিকার শীর্ষে আছেন জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল। এ নিয়ে টানা ১০ বারের মতো শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন তিনি। এবারের তালিকায় শীর্ষ চার ক্ষমতাধর নারীর সবাই রাজনীতিক। দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে রয়েছেন যথাক্রমে ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্দে, যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের (পার্লামেন্টের নিম্ন কক্ষ) স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি ও ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন দের লিয়েন।
শেখ হাসিনা সম্পর্কে ফোর্বস লিখেছে, তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। সাময়িকীটি লিখেছে, সর্বশেষ নির্বাচনে ৩০০টির মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৮৮টি আসন পাওয়ার পর টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসেন শেখ হাসিনা। বর্তমানে খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছেন তিনি। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে আরো বলা হয়েছে, ‘একটা শক্তিশালী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইও চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।’ এ ছাড়া শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ নির্বাচনে ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছেন বলে ফোর্বসের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
মোট সাতটি প্রজন্মের নারীরা স্থান পেয়েছেন এবারের তালিকায়। এঁদের মধ্যে ১৬ বছর বয়সী পরিবেশ আন্দোলনকারী গ্রেটা থানবার্গও আছে, যে তালিকায় স্থান পাওয়া নারীদের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সী। তালিকায় সবচেয়ে বেশি স্থান পেয়েছেন উত্তর আমেরিকার নারী, ৫০ জন। এরপর আছেন যথাক্রমে এশিয়া প্যাসিফিক (২১), ইউরোপ (১৮), যুক্তরাজ্য (৫), মধ্যপ্রাচ্য (৩), লাতিন আমেরিকা (২) ও আফ্রিকার (১) নারী। এঁদের মধ্যে ২৩ নারী এবার প্রথমবারের মতো তালিকায় স্থান পেয়েছেন। তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে। রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ১৫ ধাপ পিছিয়ে আছেন ৩৮তম স্থানে। ১৮ ধাপ পিছিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়ে ইভানকার অবস্থান ৪২তম। সূত্র : ফোর্বস।