ই-পাসপোর্ট চালু হওয়ার আগে চাহিদা মেটাবে এমআরপি, চাহিদার তুলনায় পাসপোর্ট দিতে পারছি না : অর্থমন্ত্রী

ন্যাশনাল ডেস্ক : ই-পাসপোর্ট চালু না হওয়া পর্যন্ত চাহিদা মেটাতে ২০ লাখ মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) কিনছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ। এতে ব্যয় হবে ৫৩ কোটি চার লাখ টাকা। এসব পাসপোর্ট সরবরাহ করবে আইডি গ্লোবাল সলিউশন লিমিটেড (সাবেক ডি লা রু ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড)। গত বৃহস্পতিবার কমিটির আহ্বায়ক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এসংক্রান্ত একটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সভা শেষে অনুমোদিত বিভিন্ন ক্রয় প্রস্তাবের বিষয় সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন মন্ত্রী।

সভা শেষে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এখন যে পরিমাণ পাসপোর্টের চাহিদা সেটা আমরা পূরণ করতে পারছি না। সারা বিশ্বে আমাদের যে এমবাসি রয়েছে তাদের একটাই দাবি, তারা সময়মতো পাসপোর্ট পাচ্ছে না বা কম পাচ্ছে। আমরা যেভাবে হিসাব করেছিলাম, পাসপোর্ট যারা তৈরি করে সেভাবে দিতে পারেনি। সে জন্যই আমাদের একটা গ্যাপ সৃষ্টি হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘দ্রুত চাহিদা মেটাতে পুরনো প্রতিষ্ঠান আইডি গ্লোবাল সলিউশন লিমিটেডের কাছ থেকে ২০ লাখ মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) কিনছি। এতে খরচ হবে ৫৩ কোটি চার লাখ ৫৫ হাজার ২৫৭ টাকা। আমাদের আরো পাসপোর্ট প্রয়োজন। আমরা ই-পাসপোর্টে যাওয়ার চেষ্টায় রয়েছি। তবে ই-পাসপোর্ট চালু হতে আরো দুই-তিন মাস সময় লাগবে।’

প্রথম দিকে দিনে ৫০০ ই-পাসপোর্ট দেওয়া হবে, পরে এটি বাড়িয়ে দুই হাজার করে দেবে বলে সংশ্লিষ্ট কম্পানি জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ই-পাসপোর্ট উদ্বোধন করবেন।

গত ২৭ নভেম্বর এ ক্রয় প্রস্তাবটি ৬৭ শতাংশ বেশি দামের কারণে ফেরত দেওয়া হয়। তবে গতকাল কমিটি আগের দাম ঠিক রেখে এবং ওই প্রতিষ্ঠানকেই সরবরাহ করার দায়িত্ব দিয়ে অনুমোদন দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘দাম বেশির বিষয়টি তারা ভুল বুঝিয়েছিল।’

বৈঠকে আশুগঞ্জ-আখাউড়া স্থলবন্দর মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার তিনটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ও ভারতের এক্সিম ব্যাংকের যৌথ অর্থায়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। তিনটি ক্রয় প্রস্তাবে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে দুই হাজার ৫৬৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।

দেশে জাপানি বিনিয়োগকারীদের জন্য নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে এক হাজার একর জমিতে গড়ে উঠছে অর্থনৈতিক অঞ্চল।

এ অর্থনৈতিক অঞ্চলের ভূমি উন্নয়নকাজসহ অন্যান্য অবকাঠামোগত কাজ বাস্তবায়নের কাজ পেয়েছে জাপানের সবচেয়ে পুরনো নির্মাণ কম্পানি টোয়া করপোরেশন। এ প্রকল্পে ব্যয় হবে এক হাজার ৮১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *