এবার ভারতের মেঘালয়ে কারফিউ জারি, বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি বন্ধ

অনলাইন ডেস্ক : নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সামাল দিতে এবার ভারতের মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলংয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়েছে। দুদিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মোবাইল ইন্টারনেট ও এসএমএস সেবা।

মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে মোবাইল ফোন থেকে ধারণ করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, অন্তত দুটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। শহরের প্রধান বাণিজ্যিক এলাকা পুলিশ বাজার বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।

টুইটারে পোস্ট করা আরেকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে শহরের প্রধান সড়কে বিশাল টর্চলাইট মিছিল বের করা হয়েছে।

রাজধানী থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরে উইলিয়ামনগরে মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা হেলিকপ্টার থেকে নামার পর তাকে ধুয়োধ্বনি দিয়েছে নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিলের বিরোধীরা। প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহরের সামনেই তরুণ-তরুণীরা ‘কনরাড ফিরে যাও’ স্লোগান দেয়।

টুইটবার্তায় মেঘালয় পুলিশ জনগণকে ভুল তথ্য না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে। একইসঙ্গে শিলংয়ের কিছু এলাকায় কারফিউ জারি ও এসএমএস সেবা বন্ধের বিষয়টি জানানো হয়েছে।

নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিলের প্রতিবাদে প্রতিবেশী আসাম গত দুদিন ধরে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে। পুলিশের সঙ্গে সংঘাতে রাজ্যে এ পর্যন্ত পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

এদিকে মেঘালয় রাজ্যে কারফিউ জারির কারণে বন্ধ রয়েছে বাংলাদেশের সিলেট সীমান্ত।  বিশেষ করে তামাবিল-ডাউকি শুল্ক স্টেশন দিয়ে বাংলাদেশিদের যাতায়াত ও পণ্য রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে ভারতের ইমিগ্রেশন।

তামাবিল স্থল বন্দরের সহকারী পরিচালক পার্থ ঘোষ গণমাধ্যমকে বলেন, ডাউকি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশিদের ভারতে ঢুকতে দিচ্ছেন না সে দেশের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা। ফলে ভারতে বেড়াতে কিংবা ব্যবসার কাজে বাংলাদেশিদের যাওয়া বন্ধ রয়েছে। তাছাড়া শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) কোনো পণ্য রফতানি হয়নি। তবে আমদানি অব্যাহত আছে।

ডাউকি কাস্টমস কর্মকর্তা ডেকলিন রেনজা বলেন, কারফিউর কারণে শিলংয়ে হোটেল-দোকানপাট সব বন্ধ আছে। পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই তাদের যেতে দেওয়া হচ্ছে না। অবশ্য পরিস্থিতি শান্ত হলে পর্যটকরা যেতে পারবেন।

এই পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন বাংলাদেশি পর্যটকেরাও।

স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় পর্যটকদের ভিড়ও ছিল তুলনামূলক বেশি। কিন্তু পর্যটকরা তামাবিল গিয়ে ফিরে আসেন।

পর্যটকদের অনেকে জানান, বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন থেকে ছেড়ে দেওয়া হলেও ভারতীয় ইমিগ্রেশন তাদের আটকে দেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *