ভারতের শিক্ষাঙ্গন আক্রান্ত, স্তম্ভিত বলিউড থেকে টলিউড

বিনোদন ডেস্ক : ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে সহিংস বিক্ষোভ চলছে। ভারতজুড়ে জ্বলছে বিক্ষোভের আগুন। রণক্ষেত্রে রূপ নিয়েছে দিল্লি। অশান্তি ঠেকাতে জিরো টলারেন্স নীতির কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। গুজব অশান্তি রুখতে রাজ্যের ছয় জেলায় সাময়িকভাবে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার মতো সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।

কিন্তু গতকাল রবিবার দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধে অশান্ত হয়ে ওঠে পরিবেশ। পুলিশ জোর করে ক্যাম্পসে ঢুকলে আগুনে ঘি পড়ে। চলে একতরফা মার। কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়। পুলিশের আক্রমণে প্রাণ হারিয়েছেন তিন শিক্ষার্থী। এরপরই দেশ জুড়ে আন্দোলনে নামেন সকল শিক্ষার্থীরা।

মুম্বাই আইআইটি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, জেএনইউ, আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়, পটনা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাত থেকেই শুরু হয় মশাল মিছিল। পোড়ানো হয় নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহের কুশপুত্তলিকা। দেশের এমন অস্থির সময়ে শিল্পীরা চুপ করে থাকবেন তা হয় না! কোনো আন্দোলন যখন ছাত্র আন্দোলনে রূপান্তরিত হয় তখন তা কোনো পর্যায়ে যেতে পারে।

এমন পরিস্থিতিতে জামিয়া মিলিয়ার শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ালেন অনুপম রায়। ছাত্র হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে টুইট করলেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। এরকম নৃশংস অত্যাচারে তিনি ক্ষুব্ধ। টুটারে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন কঙ্কনা সেন শর্মা। আন্দোলন হোক। কিন্তু সরকারি সম্পত্তির কোনো রকম ক্ষতি না করার অনুরোধ জানিয়েছেন দেব। আমরা বেধহয় হীরক রাজার দেশে বাস করছি, মন্তব্য পরমব্রতর।

টুটারে অনুরাগ কাশ্যপ ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে সরাসরি ‘ফ্যাসিস্ট’ সরকার বলে আক্রমণ করেন। সোমবার সকালে টুইট করে লেখেন, অনেক দিন হয়ে গেল। বিষয়গুলো এবার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। মোদি সরকার পরিষ্কারভাবে ফ্যাসিস্ট। আর বিষয়টা আমাকে খুবই রাগিয়ে দিয়েছে, কারণ যে আওয়াজগুলো সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ তারা এক্কেবারে মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছেন।

শুধু অনুরাগ কাশ্যপই নন। অনেকেই মুখ খুলেছেন জামিয়ায় প্রতিবাদরত ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর পুলিশের আক্রমণের ঘটনায়। এই ঘটনার নিন্দা করেছেন অভিনেতা মনোজ বাজপায়িও। ঘটনার তীব্র নিন্দা করে সরব হয়েছিলেন অভিনেত্রী স্বরা ভাস্কর। টুইটারে তিনি লেখেন, জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভয়ংকর হিংসা চলছে। কেন ছাত্র-ছাত্রীদের অপরাধীদের চোখে দেখা হচ্ছে? হোস্টেলগুলোতে কেন কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হচ্ছে? এটা কী হচ্ছে দিল্লি পুলিশ? লজ্জাজনক ঘটনা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *