ন্যাশনাল ডেস্ক: বিয়ে উপলক্ষে বর ও কনের বাড়িতে চলছিল প্রস্তুতি। বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক হওয়ার পর উভয় পক্ষ আত্মীয়স্বজনদের আমন্ত্রণও করেন। বিয়ের কার্ড ছাপিয়ে পৌঁছে দেওয়া হয় অতিথিদের। তবে কনে যে শিশু, তা সবার জানা ছিল না। বিয়েবাড়িতে এসে সবাই বিষয়টি জানতে পারেন। পরে প্রশাসনের বাধার মুখে বিয়ে ছাড়াই পালিয়ে যান বর, বরযাত্রী ও অতিথিরা। বুধবার দুপুরে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল বলেন, তাঁর এলাকার এক স্কুলছাত্রীর (১৪) সঙ্গে শরিফ উদ্দিন (২৮) নামে এক ব্যক্তির বিয়ে ঠিক হয়। বর এবার রাজশাহী কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর পাস করেছেন। বিয়ে উপলক্ষে উভয়ের পরিবার তাদের স্বজনদের আমন্ত্রণ জানায়। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার হলুদসন্ধ্যাও অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বাল্যবিবাহের খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন। দুপুরের দিকে ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল কয়েক জন গ্রাম পুলিশ নিয়ে কনের বাড়িতে হাজির হন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বর শরিফ উদ্দিন নিজের আসন থেকে উঠে দৌড়ে পালিয়ে যান। তাঁকে অনুসরণ করে বরযাত্রীরাও সটকে পড়েন। এ সময় কনেসহ তাঁর স্বজনেরাও গা ঢাকা দেন। এই ঘটনায় কনেসহ তাঁর মা-বাবা এবং বরের দুজন অভিভাবককে ইউএনও কার্যালয়ে নেয় গ্রাম পুলিশ। পরে কনের মা-বাবা মুচলেকা দিলে সবাই ছাড়া পান।
ইউএনও জাকিউল ইসলাম বলেন, বাল্যবিবাহ দেওয়া যাবে না, এই মর্মে মেয়ের মা-বাবার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাল্যবিবাহের বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলেও জানান তিনি।
<p>পরিচিতি</p><p>প্রকাশক ও সম্পাদক - মোঃ সালমান শাহেদ</p><p>বার্তা সম্পাদক - সজীব কুমার নন্দী</p><p>যোগাযোগ</p><p>ঢাকা অফিস: ৯৫ আজিজ ম্যানশন, (৩য়) তলা, বীর উত্তম জিয়াউর রহমান সড়ক, কাকলী বনানী ঢাকা-১২১৩ বাংলাদেশ। </p><p>১৩৪ এন.এস.রোড, কুষ্টিয়া - ৭০০০, বাংলাদেশ।</p><p>ফোন - +৮৮০-১৮৩১-৩৬৬০১২</p><p>ই-মেইল - info@desherpotrika.com</p><p>সতর্কতা</p><p>এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার ও কপি করা বেআইনি।</p><p>© কপিরাইট ২০১৮ । www.desherpotrika.com</p>
Copyright © 2025 দেশের পত্রিকা - দেশের পত্রিকা দেশের কথা বলে. All rights reserved.