ক্রিয়া ডেস্ক: শেষ আট নিশ্চিত হওয়ার পরই বার্সেলোনা জেনে গিয়েছিল শক্ত প্রতিপক্ষের বিপক্ষেই লড়তে হবে তাদের। সেভিয়ার বিপক্ষে তাই নির্ভার থাকার কোনো সুযোগ ছিল আরনেস্তো ভালভার্দের। তবুও সাহসী এক সিদ্ধান্তই নিয়েছিলেন বার্সা কোচ। দলের সেরা তারকা মেসিকে স্কোয়াডেই রাখেননি কাল। ফলাফল, প্রথম লেগে ২-০ গোলের হার নিয়ে মাঠ ছেড়েছে তারা। তবুও ভালভার্দে মনে করছেন ভুল কিছু করেননি।
গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে মেসিকে দলের বাইরে রেখেছেন, একাদশে রাখেননি সুয়ারেজকে। ফর্মে থাকা ওউসমানে ডেমবেলেও ছিলেন না স্কোয়াডে। গোল করার সব দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সদ্য দলে নেওয়া প্রিন্স বোয়েটাং ও গত ছয় মাস প্রায় আড়ালে চলে যাওয়া ম্যালকমকে। এমন গুরুত্বপূর্ণ সব সিদ্ধান্তের পক্ষে ভালভার্দের যুক্তি, ‘প্রথমার্ধে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ কমবেশি আমাদের হাতেই ছিল কিন্তু সেভিয়া আমাদের চেয়ে সফল ছিল। একসময় ম্যাচটি তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। এটা সত্যি যে আজকে আমি পরিবর্তন এনেছি দলে, আমি মনে করেছিলাম সেটাই ভালো হবে। মেসিকে বিশ্রাম দেওয়া নিয়ে অনুশোচনা নেই আমার। এটা আমার করতেই হতো। বোয়েটাংকে প্রথম একাদশে রাখা কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ ছিল কিন্তু আমাকে এটা নিতে হয়েছে।’
টানা চার বছর কোপা ডেল রে জিতেছে বার্সেলোনা। এ কারণেই কি কাপ গুরুত্ব পাচ্ছে না বার্সেলোনার কাছে? ভালভার্দে খুবই কৌশলে উত্তর দিয়েছেন, ‘এটা মনে হতে পারে যে আপনি যখন একটি শিরোপা অনেকবার জিতেন, তখন সেটির গুরুত্ব আপনি টের পান না। কিন্তু কথাটা ঠিক নয়।’
গত বছর লিগ ও কোপা ডেল রের ম্যাচগুলোতে বেশি গুরুত্ব দেওয়ায় চ্যাম্পিয়নস লিগে ভালভার্দের শিষ্যদের মধ্যে ক্লান্তির ছাপ দেখা যায়। চ্যাম্পিয়নস লিগে গতবার কোয়াটার ফাইনালে রোমার কাছে হেরে বাদ পড়তে হয় বার্সেলোনাকে। আর তারপর দলের একাদশ ঘুরিয়ে ফিরিয়ে না খেলানো নিয়ে সমালোচনায় পড়তে হয় ভালভার্দেকে। সেই একই ভুল আর মৌসুমে করতে চান না বার্সা কোচ। এই প্রসঙ্গে বার্সা কোচ বলেন, ‘শেষ বছর এই টুর্নামেন্টে বিশেষ জোর দেওয়ার মূল্য দিতে হয়েছিল আমাদের। এই বছর আমরা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দলকে খেলাচ্ছি কারণ এটাই আমদের কাছে সেরা কৌশল মনে হয়েছে।’
প্রথম লেগে দুই গোলের হারে দ্বিতীয় লেগে অন্তত তিন গোলের ব্যবধানে জিততে হবে বার্সেলোনাকে। আর সেভিয়া যদি গোল পেয়ে যায় তখন সেমিফাইনালে যাওয়ার সমীকরণটা জটিল হয়ে উঠবে রেকর্ড ত্রিশবারের কোপা ডেল রে জয়ীদের জন্য।