অফিস পৌঁছাতে দেরি হলে অনীহা বাড়ে কাজে

অনলাইন ডেস্ক : বাড়ি থেকে সময়মতোই বের হচ্ছেন। তারপরও নির্দিষ্ট সময়ের পরে অফিসে পৌঁছাচ্ছেন। নিজেকে দোষারোপ করছেন। সে সঙ্গে অফিসও বাঁকা চোখে দেখছে আপনাকে। তা নিয়ে আপনি নিশ্চয়ই অত্যন্ত বিরক্ত হয়ে থাকেন। ভাববেন না, আপনার মতো এমন অসংখ্য মানুষ রয়েছে যাদের অফিস পৌঁছানোর সময় এতটাই বেশি যে পৌঁছনোর পর অফিসের কাজ হয়ে ওঠে অসহ্য।

আবার দিনে দিনে যানজটের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তার জ্যাম টপকে অফিস পৌঁছানো এবং বাড়ি ফেরা অসম্ভভ ক্লান্তিকর। আর এই বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ একটি গবেষণা করেছে। তাতে দেখা গেছে, যতটা সময় ধরে কেউ অফিস পৌঁছান, তার জব স্যাটিসফেকশন ততটাই কম। অফিসের কাছে যার বাড়ি তার থেকে অনেকাংশেই কম অন্তত।

সম্প্রতি পশ্চিম ইংল্যান্ডের এক দল গবেষক অফিস পৌঁছানোর জন্য অতিবাহিত সময় এবং কাজের প্রতি ভালোবাসার মধ্যে একটি যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছেন। তাদের দাবি, প্রতি বাড়তি এক মিনিটে কর্মীর মানসিক চাপ বাড়তে থাকে এবং কাজের প্রতি অনীহা বাড়ে। বলা হচ্ছে, ২০ মিনিট বাড়তি সময় কাটিয়ে ফেললে তা কর্মীর মনে ১৯ শতাংশ বেতন কেটে নেওয়ার মতো প্রভাব ফেলে। এর ফলে কাজের কোনো আনন্দ উপভোগ করেন না কর্মচারী।

হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ’র রিপোর্ট অনুযায়ী, ইউরোপের ছয়টি শহরের প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষের মত, পৌঁছাতে দেরির কারণে কর্মক্ষেত্রে যে মানসিক হয়রানি তৈরি হয় তার পরিমাণ অনেক বেশি নতুন বাড়িতে শিফট করা বা ডেন্টিস্টের কাছে যাওয়ার চাইতে। আসলে, অফিস থেকে বাড়ি এবং বাড়ি থেকে অফিসে আসার সময় একজন মানুষকে তার ‘চরিত্র’ পরিবর্তন করতে হয়। তবে অনেক বেশি সময় ভ্রমণ করলে সমস্ত শক্তি ও এনার্জি নষ্ট হয়ে যায়। মানুষ অনেক বেশি বিরক্ত হয়ে পড়েন। সে কারণে ধীরে ধীরে জীবন উপভোগ করার ইচ্ছেটাই মরে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *