কুষ্টিয়া সানআপ এন্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ বার্ষিক ফলাফল অনুষ্ঠানে: জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : বুধবার বিকাল ৩:০০ টার সময় কোর্টপাড়াস্থ সানআপ এন্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ বার্ষিক ফলাফল ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সানআপ এন্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজর লেখক, গবেষক উপদেষ্টা ড. আমানুর আমান, আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সানআপ এন্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজর পরিচালক মোকাদ্দেস আলী, সভাপতি করেন সানআপ এন্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজর প্রতিষ্ঠাতা কাজী সামছুন নাহার আলো।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তেব্যে বলেন আমাদের ইচ্ছায় স্বপ্নের উপরে ভিত্তি করে আমরা করি। আজ আমাদের ইংরাজী শিক্ষার উপর গুরুত্ব একুট বেশি। আমরা যদি মানুষকে যদি এই শিক্ষা, দক্ষতা দিয়ে গড়ে তুলে দিতে পারি তাহলে সেই মানুষ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাবে। প্রতিটি মানুষ শিক্ষকের হাতে দিয়ে গড়ে উঠে। তাই আমাদের প্রতিটি শিক্ষকের দায়িত্ব শিশু স্বপ্ন গড়ার লক্ষে তাদেরকে গভীর ভাবে শিক্ষা দিতে হবে। আজ যদি আমাদের সন্তানের শিক্ষা না দিতে পারি তাহলে তারা কখনও ভাবে এগিয়ে যেতে পারবে না। তবে শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। যারা আজ শিক্ষা গ্রহণ করেছে তারা আজ সুন্দর ভাবে জীবন যাপনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আজ পরিবারের মাধ্যমে সন্তানেরা অনেক কিছু শিখবে। একজন পিতা মাতাই পারে তার সন্তানকে গড়ে তুলতে। আজকের ছেলে মেয়েদের প্রতিটি পরিবারে শিকড়ের কথা জানাতে হবে এবং গভীর ভাবে শেখাতে হবে। আজ আমাদের স্বাধীনতা, বাংলাদেশের স্বাধীনতা কিভাবে জয় পরাজয় হয়েছে তা তাদেরকে শিক্ষা দিয়ে গড়ে তুলতে হবে। আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমান তিনি আমাদেরকে স্বাধীনতার পথ দেখিয়ে দিয়েছেন, তাই আমরা আজ স্বাধীন দেশে এবং শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে পারছি। আরেক বিষয়ে তিনি বলেন আপনাদের ছেলে ও মেয়েরা কোথায় যাচ্ছে, কার সাথে মেলামিশা করছে সে দিকে নজর দিতে। আপনার ছেলে মেয়ে খরাপের সাথে যাচ্ছে না ভালোর দিকে যাচ্ছে সেটা খেয়াল রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন শিক্ষা বা জ্ঞান এমন একটি বিষয় যা কোন শেষ নেই। আজকের পিতা মাতা হলো শিশুদের বড় শিক্ষক। কারণ পিতা মাতা শিশুদের যা শেখাবেন ঐ শিশুটি তাই শিখবে। যদি কোন পরিবারের আচরণ খরাপ হয় তাহলে ঐ শিশুরটির আচরণ খরাপ হতে পারে। তাই আমাদের প্রতিটি শিশুকে ভালবাসা ও শিক্ষা দিয়ে গড়ে তুলতে হবে। আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যত। আজ আমরা থাকবো না। কালকে তারা দেশ পরিচালনা করবে। বাংলাদেশের বাহিরে যে সম্পদ আছে তা আমাদের বাংলাদেশে পরিমান অনেক কম বা নেই বলে চলে। আমাদের সন্তান কে শিক্ষা দিয়ে বাংলাদেশের সম্পদ গড়ে তুলতে হবে সব অভিভাবকদের প্রতি আহবান জানান। প্রতিটি মানুষকে চিন্তা করতে হবে তাদের সন্তানরা উচ্চ শিক্ষা যেন লাভ করে। নারী নির্যাতনের একটাই কারণ, সে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ না করার কারণে। তাই কমপক্ষে একজন নারীকে উচ্চ শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ করে দিতে হবে। একজন শিক্ষিত নারী পারে সুন্দর করে দেশ বা সংসার চালাতে। তাই আমাদের নারী শিক্ষার্থীদেরকে বেশি বেশি করে শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত, জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হয় এবং অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *