নতুন জীবন পেল ২১৯ শিশু মেসুত ওজিলের অর্থায়নে

অনলাইন ডেস্ক : যেসব মুসলিম ফুটবলার খেলার মাঠেও ধর্ম অনুশীলনে সদা প্রস্তুত থাকেন, তাদের মধ্যে অন্যতম জার্মান ফুটবলার মেসুত ওজিল। ওজিল পাশাপাশি জনহিতকর কাজও করে থাকেন।

এর আগে তিনি ১ হাজার অসুস্থ শিশুর অপারেশনের দায়িত্ব নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এবার সিদ্ধান্তের বাস্তবায়নও শুরু করে দিয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে তার অর্থায়নে ২১৯ জন অসুস্থ শিশুর অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে।
‘বিগ শো চ্যারিটি’ নামের একটি সংস্থার মাধ্যমেই অপারেশন পরিচালনা করা হয়েছে। বড়দিনের সকালে একাধিক টুইটের মাধ্যমে ভক্তদের অপারেশনের আপডেট জানিয়েছেন তিনি।

টুইটে ওজিল লিখেছেন, ‘২১৯টি অপারেশন শেষ হয়েছে। কিন্তু এখনও অনেক দূর যেতে হবে! ২০১৯ সালের জুনে আমাদের বিয়ের সময় আমি এবং আমার সহধর্মিণী আমিনে যেমনটা ঘোষণা করেছিলাম, আমরা বিশ্বের ১ হাজার অভাবী এবং অসুস্থ শিশুর জীবন বদলে দেওয়া অপারেশনের ব্যয় বহন করব।’

বিশ্বকাপজয়ী জার্মান মিডফিল্ডার আরও লিখেছেন, ‘কয়েক বছর ধরে সহযোগিতা করার জন্য বিগ শো চ্যারিটিকে ধন্যবাদ। বিয়েতে উপস্থিত থাকা সকল অতিথি এবং যেসব ভক্ত ও সমর্থক যারা দান করে পাশে থেকেছেন তাদেরও ধন্যবাদ। এবং আন্তর্জাতিক মেডিকেল টিম যারা এতে যুক্ত ছিলেন তাদের বিশেষ ধন্যবাদ। এটা তো কেবল শুরু, চলুন ২০২০ সালে আরও শত শত অভাবী শিশুকে সহায়তা করি।’

‘বিগ শো’ এমন এক চ্যারিটি নেটওয়ার্ক যা ক্রীড়া তারকা এবং সমর্থকদের সঙ্গে জড়িত। এই চ্যারিটি নেটওয়ার্ক মূলত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিশুদের মেডিকেল অপারেশনে সহায়তা করে থাকে। যেসব দেশে চিকিৎসক, অর্থ এবং ওষুধের অভাব এমন সব দেশের শিশুদের নিয়ে কাজ করে এই সংস্থা। ২০১৪ বিশ্বকাপে জয়ের পর থেকেই এই সংস্থার সঙ্গে জড়িত ওজিল।

জার্মানির হয়ে ২০১৪ বিশ্বকাপ জেতার পর পুরস্কার হিসেবে পাওয়া ২ লাখ ৪০ হাজার পাউন্ডের পুরোটাই আয়োজক দেশ ব্রাজিলের ২৩ জন শিশুর অপারেশনের জন্য খরচ করেন ওজিল।

বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার দিনে ওজিল তুরস্ক ও সিরিয়ার ১৬টি শরণার্থী শিবিরের ১ লাখ মানুষকে খাওয়ানোর দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেন। ৩১ বছর বয়সী ওজিল শুধু সিদ্ধান্ত নিয়েই বসে থাকেননি, খাদ্য বিতরণের জন্য পুরো অর্থ তিনি এরকুতের হাতে তুলে দেন। পরে এরকুতের আয়োজনে এই খাদ্য বিতরণ করে রেড ক্রস।

নিজের পূর্বপুরুষদের দেশ তুরস্কে প্রায়ই দরিদ্রদের মাঝে অর্থ-সম্পদ দান করতে দেখা যায় ওজিলকে। এর আগে তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারার কয়েকজন ক্ষুধার্ত শিশু তাদের অভাব দূর করার জন্য ওজিলকে ‘থ্যাঙ্ক ইউ’ ম্যাসেজ পাঠিয়েছিল।

তুর্কি বংশোদ্ভূত জার্মানির সাবেক এ মিডফিল্ডার নিজেকে মানবতার সেবায় নিয়োজিত করতেই বেশি পছন্দ করেন তিনি। গত গ্রীষ্মে মিস তুর্কি এমাইন গুলসের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার দিনে বিশ্বের ১ হাজার দরিদ্র শিশুর কিডনির অপারেশনের দায়িত্ব নেওয়ার প্রতিজ্ঞা করেন ‍ওজিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *