বছরের আলোচিত ৫ বিশ্ব প্রযুক্তিতে

অনলাইন ডেস্ক : সিংহাসন হারাল অ্যাপল সৌদি আরবের তেল কম্পানি আরামকোর কাছে চলতি বছর বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান কম্পানির তকমা হারিয়েছে অ্যাপল। শেয়ার মার্কেটে প্রবেশ করা মাত্র আরামকোর শেয়ারের মূল্য ১০ শতাংশ বেড়ে যায়। এতে কম্পানিটির বাজারমূল্য বেড়ে দাঁড়ায় ১ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন ডলারে। শুধু তা-ই নয়, বাজারমূল্যের দিক দিয়ে অ্যাপলের খুব কাছাকাছি চলে এসেছে মাইক্রোসফটও। অক্টোবরে মাইক্রোসফটের বাজারমূল্য দাঁড়ায় ১ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন। মাইক্রোসফটকে ট্রিলিয়ন ডলারের কম্পানিতে পরিণত করার পেছনে প্রতিষ্ঠানটির সিইও সত্য নাদেলার অনেক বড় অবদান রয়েছে।

কোয়ান্টাম দুনিয়ায় অগ্রগতি
গুগলের এআই কোয়ান্টাম দল কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের ক্ষেত্রে আরেক ধাপ এগিয়ে যায় এ বছর। গুগলের সিকামোর প্রসেসর সাড়ে তিন মিনিট সময়ে এমন এক হিসাব করতে সক্ষম হয়, যা প্রচলিত সবচেয়ে শক্তিশালী কম্পিউটারের করতে লাগে ১০ হাজার বছর। যদিও এটা নিয়ে খানিক তর্কবির্তক রয়েছে, তবে বলা হচ্ছে, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং বদলে দিতে যাচ্ছে ভবিষ্যতের প্রযুক্তি দুনিয়া।

অবসরে জ্যাক মা
নিজের গড়া প্রতিষ্ঠান আলিবাবা থেকে সেপ্টেম্বরে পদত্যাগ করলেন চীনা ধনকুবের জ্যাক মা। পূর্বপ্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২০ বছর আগে প্রতিষ্ঠা করা বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম এই প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব ড্যানিয়েল ঝ্যাংয়ের হাতে তুলে দেন জ্যাক। বিদায়ের মুহূর্তটি স্মরণীয় করে রাখতে চেষ্টার ত্রুটি করেননি এশিয়ায় একসময়কার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি জ্যাক মা। সেদিন রকস্টারের বেশে কর্মচারীদের সামনে হাজির হয়েছিলেন জ্যাক মা।

হ্যাকিংয়ের শিকার টুইটারের প্রধান নির্বাহী
আগস্টে হ্যাক হয় টুইটারের প্রধান নির্বাহী জ্যাক ডরসির টুইটার অ্যাকাউন্টটি। হ্যাকাররা আধা ঘণ্টা অ্যাকাউন্টটি নিজেদের দখলে রাখে। টুইটারের অফিশিয়াল অ্যাকাউন্ট থেকে হ্যাক হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। হ্যাকাররা নিজেদের চাকলিং স্কোয়াডের সদস্য বলে দাবি করে। ডরসি অ্যাকাউন্টটি থেকে বর্ণবিদ্বেষমূলক অশ্রাব্য গালাগাল পোস্ট করে হ্যাকাররা। এ ছাড়া অন্যান্য টুইটে অ্যাডলফ হিটলারের প্রশংসাও করে তারা। পাশাপাশি টুইটারের হেডকোয়ার্টারে বোমা হামলা করারও হুমকি দেয়। যদিও শেষ পর্যন্ত তেমন কিছু হয়নি।

এক কোটি ছবির ডাটাসেট ডিলিট মাইক্রোসফটের
চলতি বছরের জুনে এক কোটি (১০ মিলিয়ন) ছবির একটি ডেটাবেইস ডিলিট করেছে মাইক্রোসফট। সার্চ ইঞ্জিন থেকে সংগৃহীত ছবিগুলোর ডাটাসেটের নাম ‘এমএস সেলেব’। এ ডাটাসেটে এমন ব্যক্তিদের ছবি যুক্ত করা হয়, যাদের তারকাখ্যাতি রয়েছে। একই ব্যক্তির চেহারা ভিন্ন ভিন্ন ছবিতে চেনাতে ফেশিয়াল রিকগনিশন অ্যালগরিদমকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ডোটসেটটি নিয়ে কাজ করেন সামরিক বাহিনীর গবেষকরা। সংবাদমাধ্যম ফিন্যানশিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে। সেখানে বলা হয়, ডাটাসেটটিতে যাঁদের ছবি ছিল, তাঁরা বিষয়টি সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। তাঁদের কাছ থেকে কোনো অনুমতিও নেওয়া হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *