ন্যাশনাল ডেস্ক: ২ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) গণভবনে আসার জন্য জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা ও গণফোরাম সেক্রেটারি মোস্তফা মহসীন মন্টু এ তথ্য জানান। প্রধানমন্ত্রীর চিঠিতে ওই দিন বিকেল ৩ টায় শুভেচ্ছা বিনিময় ও চা চক্রে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেন, ‘আমরা দাওয়াত কার্ড পেয়েছি। তবে সেটা কিসের দাওয়াত, কী জন্য দাওয়াত দেওয়া হয়েছে তা জানি না। তবে গণভবন থেকে কোনও ফোন করা হয়নি।’
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির একাধিক সদস্য জানান, তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দাওয়াত কার্ড পেয়েছেন। এ দাওয়াতে যাওয়া না যাওয়ার বিষয়ে স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দেশের সব রাজনৈতিক দলকে সংলাপের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। ঐক্যফ্রন্ট ও যুক্তফ্রন্টসহ ৭৫টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে গণভবনে সংলাপ হয়েছিল। এখন নির্বাচন শেষ হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী তাদেরকে আবার আমন্ত্রণ জানাবেন। তাদের সঙ্গে কিছু মতবিনিময় করবেন এবং তাদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা থাকবে।
এরপরে ১৫ জানুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিএনপির অসুস্থ এক কর্মীকে দেখতে গিয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাতিলের এজেন্ডা থাকলে আমরা সংলাপে যাবো, না হলে যাবো না। এটাই ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির সিদ্ধান্ত।’
গত বছরের ১৩ অক্টোবর রাজনৈতিক ক্রান্তিকালে দেশের অন্যতম প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়ে গণফোরাম সভাপতি বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত হয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিয়ে সংশয়ে থাকা বিএনপি এরপর এই বৃহৎ বিরোধী জোট থেকে ড. কামাল হোসেনের মাধ্যমে আবারও সংলাপের আহ্বান জানালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাতে সাড়া দেন। এরপর ১ নভেম্বর সংলাপের উদ্দেশে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ঐক্যফ্রন্টের অন্য নেতারা গণভবনে যান। এ বৈঠকে ঐক্যফ্রন্টের দাবি-দাওয়া শোনার পর প্রধানমন্ত্রী বেশ কিছু বিষয়ে তাদের আশ্বস্ত করেন। তবে আলোচনা শেষ না হওয়ায় ছোট পরিসরে ৯ নভেম্বর দ্বিতীয় দফার সংলাপে গণভবনে যান ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। এরপর তারা জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মাত্র ৮টি আসনে জয়লাভ করায় ব্যাপক কারচুপি ও ভোট ডাকাতির অভিযোগ এনে এই নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করেছে।