Site icon দেশের পত্রিকা – দেশের পত্রিকা দেশের কথা বলে

বীমার আওতায় আসছেন ,বিদেশগামী কর্মীরা

অনলাইন ডেস্ক: বিদেশগামী কর্মীদের বাধ্যতামূলকভাবে বীমার আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ১২তম বৈঠকে বিদেশগামী কর্মীদের শতভাগ বীমার আওতায় আনার সুপারিশ করা হয়।পরবর্তী সময়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষকে (আইডিআরএ) এ-সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়নের অনুরোধ করে। মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে এরই মধ্যে আইডিআরএ একটি খসড়া নীতিমালা তৈরি করেছে।

অন্যদিকে বিদেশের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের কর্মকর্তারা বিদেশি বীমা কোম্পানিগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সফর করবেন।খসড়ায় বলা হয়েছে, বিদেশে কর্মরত এবং যারা কাজ করতে যেতে চান এমন দক্ষ, অদক্ষ বা আধা দক্ষ কর্মীরা এ বীমার আওতায় আসবেন। তাদের জন্য তিন ধরনের বীমার কথা বলা হয়েছে। বিদেশ যাওয়ার এক মাসের মধ্যে স্বাস্থ্য বীমা, জীবন বীমা এবং চাকরি হারানো, বাফার টাইম ও কোম্পানি বন্ধ হওয়ার বীমা।জীবন বীমার ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে কর্মমেয়াদের জন্য জীবন বীমা পলিসি করতে হবে। পরবর্তী সময়ে কর্মের মেয়াদ বৃদ্ধি হলে বীমার মেয়াদও বাড়াতে হবে। বীমা সর্বনিম্ন ২ লাখ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত। ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত এ বীমা সুবিধা পাবেন। বীমা চলাকালীন বীমাগ্রহীতা মারা গেলে বা অঙ্গহানি হলে বীমা দাবি পরিশোধ করা হবে।বীমা গ্রাহক মারা গেলে শতভাগ বীমা পরিশোধ করা হবে। বীমা চলাকালীন অঙ্গহানি হলে, উভয় চোখের দৃষ্টিশক্তি হারালে মূল বীমার শতভাগ পরিশোধ করতে হবে।

কব্জির ওপর থেকে উভয় হাত কাটা গেলে, হাঁটুর ওপর থেকে উভয় পা কাটা গেলে, কব্জির ওপর থেকে এক হাত অথবা হাঁটুর ওপর থেকে এক পা কাটা গেলে, কব্জির ওপর থেকে এক হাত কাটা গেলে এবং এক চোখের দৃষ্টি চিরতরে হারিয়ে গেলে, হাঁটুর ওপর থেকে এক পা কাটা গেলে মূল বীমার শতভাগ পরিশোধ করতে হবে।এ ছাড়া এক চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে গেলে মূল বীমার ৫০ শতাংশ, উভয় কানের শ্রবণশক্তি হারিয়ে গেলে ৪০ শতাংশ, এক কানের শ্রবণশক্তি হারিয়ে গেলে ২০ শতাংশ, নিচের চোয়াল সরে গেলে ২৫ শতাংশ, বৃদ্ধাঙ্গুলিসহ চার আঙুল কাটা গেলে বীমার ৪০ শতাংশ, বৃদ্ধাঙ্গুলি সম্পূর্ণ কাটা গেলে ২৫ শতাংশ পরিশোধ করতে হবে।বীমা পলিসি নেওয়ার ক্ষেত্রে বৈধ পাসপোর্টের কপি, ন্যাশনাল আইডির ফটোকপি, নিয়োগকর্তার ওয়ার্ক পারমিট, মেডিক্যাল রিপোর্ট। বীমা নেওয়ার ক্ষেত্রে দুজন নমিনি নির্বাচন করতে পারবেন। বীমাগ্রহীতার প্রথম নমিনির অবর্তমানে দ্বিতীয় নমিনি বীমা সুবিধা পাবেন।বীমা দাবি পরিশোধের ব্যাপারে খসড়ায় বলা হয়েছে-মৃত্যুর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ মিশন বা সরকারি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ডেথ সার্টিফিবেট দেবে। আর অঙ্গহানির ব্যাপারে ডাক্তারি সার্টিফিকেট দেখাতে হবে।

বীমার প্রিমিয়াম হার বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের অধিভুক্ত কমিটি সিআরসি কর্তৃক প্রিমিয়ামের হার নির্ধারিত হবে। তবে এককালীন সর্বনিম্ন অঙ্কের ওপর দশমিক ৩ শতাংশ আরোপ করা যেতে পারে। বীমাকারীর বয়স ১৮ থেকে ৫৮ বছরের মধ্যে হতে হবে। বীমাগৃহীতা কাজে যোগদানের এক মাসের মধ্যে কর্ম হারালে বীমা দাবির ৮০ শতাংশ ক্ষতিপূরণ পাবেন। এক থেকে তিন মাসের মধ্যে ৭০ শতাংশ, তিন থেকে পাঁচ মাসের মধ্যে ৬০ শতাংশ, পাঁচ থেকে সাত মাস ৫০ শতাংশ, সাত থেকে নয় মাসের মধ্যে চাকরিচ্যুত হলে ৪০ শতাংশ এবং নয় মাসের মধ্যে চাকরিচ্যুত হলে ২৫ শতাংশ ক্ষতিপূরণ পাবেন। চাকরিচ্যুতির সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এজেন্টকে জানাতে হবে এবং বীমাকারী প্রতিনিধিদের কাছে প্রয়োজনীয় কাগজ দিতে হবে। স্থানীয় দূতাবাসকে জানাতে হবে।

Exit mobile version