শাকসবজি উৎপাদনে বাংলাদেশ ব্যাপক উন্নতি সাধন করেছে : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

অনলাইন ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শাক-সবজি উৎপাদনে বাংলাদেশ ব্যাপক উন্নতি সাধন করেছে। শাকসবজি উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়।

তিনি বলেন, অন্যান্য ফসলের ন্যায় শাকসবজি উৎপাদনেও আমরা ব্যাপক উন্নতি সাধন করেছি। শাকসবজি উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি। আমাদের এখন পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

আগামীকাল শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া তিনদিনব্যাপী জাতীয় সবজি মেলা উপলক্ষে আজ বৃহষ্পতিবার দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এই সবজি মেলা আগামীকাল ৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। এবারের মেলার প্রতিপাদ্য ‘পুষ্টি ও সুস্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ সবজি’।

শেখ হাসিনা বলেন, সুস্থ-সবলভাবে বেঁচে থাকতে পুষ্টিকর খাদ্যের বিকল্প নেই। পুষ্টির চাহিদা পূরণে শাকসবজির অবদান অনন্য। শাকসবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থসহ অন্যান্য অনেক পুষ্টি উপাদান।

তিনি বলেন, আমাদের দেশের মাটি ও জলবায়ু বিভিন্ন সবজি চাষের জন্য খুবই উপযোগী। স্বল্প সময়ে ও স্বল্প যতেœই চাষ করা যায় বলে অর্থনৈতিক দিক কর্মসংস্থান ও পুষ্টি বিবেচনায় শাকসবজি চাষের গুরুত্ব অপরিসীম।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, উত্তম কৃষি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নিরাপদ শাকসবজি উৎপাদনে গুরুত্ব প্রদান করতে হবে। খাদ্যাভ্যাসেও পরিবর্তন এনে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণ শাকসবজি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। উন্নত ও উচ্চফলনশীল শাকসবজির জাত, প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণে সংশ্লিষ্টদের আরো সচেষ্ট হতে হবে।

তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত, বৈষম্যহীন সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে স্বাধীনতার পরই কৃষিখাতের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, তিনি (বঙ্গবন্ধু) পঁচিশ বিঘা পর্যন্ত জমির মালিকদের খাজনা মওকুফের পাশাপাশি উন্নত পদ্ধতিতে চাষাবাদ, উন্নত বীজ, সেচ ও অন্যান্য কৃষি উপকরণ সরবরাহ করে কৃষিক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা ও উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে খাদ্যে স্বয়ম্ভরতা অর্জনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার কৃষিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কৃষিবান্ধব নীতি বাস্তবায়ন করছে। সার, বীজসহ সব কৃষি উপকরণের মূল্যহ্রাস, কৃষকদের সহজ শর্তে ও স্বল্পসুদে ঋণ প্রদান, দশ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ, কৃষকদের নগদ সহায়তা, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ও ই-কৃষির সম্প্রসারণসহ গবেষণায় বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিপণন ব্যবস্থাকে আরো আধুনিকায়ন করা হয়েছে। ‘কৃষকের বাজার’ স্থাপনের মাধ্যমে কৃষকদের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করা হচ্ছে। কৃষিতে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে।

উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারের নিরন্তর প্রচেষ্টায় সুস্থ-সবল পুষ্টিসমৃদ্ধ মেধাবী জাতি গঠনে জাতীয় সবজি মেলা ২০২০ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

বাণীতে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সবজি মেলা ২০২০ অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেনে আনন্দ প্রকাশ করেন এবং মেলার সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেন। এছাড়াও তিনি এ উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *