অনলাইন ডেস্ক : ভারতের কলকাতার নৈহাটিতে বেআইনিভাবে চালিয়ে যাওয়া বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তত চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। জানা গেছে, বিস্ফোরণে আরো বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আজ শুক্রবার দুপুরে বিস্ফোরণের ব্যাপক আওয়াজে কেঁপে ওঠে দেবক এবং সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রায় তিন-চার কিলোমিটার দূর থেকেও শোনা যায় পর পর তিনটি বিস্ফোরণের আওয়াজ।
পুলিশ বলছে, নৈহাটির দেবক গ্রামে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়েছে। তার আঘাত এতটাই বেশি ছিল যে বাড়ির ছাদ পর্যন্ত উড়ে গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বেলা ১২টা নাগাদ বিকট আওয়াজে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। এমনকি গঙ্গার ওপারেও শোনা যায় বিস্ফোরণের শব্দ।
তার পরেই আগুন দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ এবং দমকল বাহিনীর সমস্যরা। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সময় বাজি কারখানায় কাজ করছিলেন বেশ কয়েকজন। তাদেরকে গুরুতর জখম অবস্থায় ব্য়ারাকপুর এবং নৈহাটির বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে হয়। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের যুগ্ম কমিশনার (সদর) ধ্রুবজ্যোতি দে বলেন, এখন পর্যন্ত চারজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাজির পাশাপাশি ওই কারখানায় দেশি বোমা বানানো হত। পুলিশেরও সন্দেহ শক্তিশালী কোনো বিস্ফোরক ওই ভবনে রাখা ছিল।
পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, আমাদের কাছে ওই বাজি কারখানা সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই। বেআইনিভাবে চলছিল ওই কারখানা। কারখানার মালিক কে এবং কতজন সেই সময় কারখানায় ছিলেন তা এখনো স্পষ্ট নয়।
তবে প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, নূর হোসেন নামে এক ব্যক্তির ওই কারখানা। তিনি ফেরার। এক বছর আগেও ওই এলাকায় একটি বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয় এবং প্রাণ হারিয়েছিলেন তিনজন শ্রমিক। পুলিশের একাংশও অনুমান করছে, ওই কারখানায় উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিস্ফোরক মজুত করে রাখা ছিল।