অনলাইন ডেস্ক: কোচিং বাণিজ্যে বন্ধের নীতিমালাসহ শিক্ষকদের নিয়ে করা রিটের রুলের ওপর রায় ঘোষণার জন্য আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
রোববার (২৭ জানুয়ারি) এ বিষয়ে করা কয়েকটি পৃথক রিটের ওপর শুনানির পর বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ঠিক করেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।
রিটকারীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম। অ্যামিকাস কিউরি ছিলেন ফিদা এম কামাল।
কোচিং বাণিজ্যের অভিযোগে দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনের ভিত্তিতে রাজধানীর মতিঝিল সরকারি বালক বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না-সেজন্য কারণ দর্শাতে নোটিশ দেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
ওই নোটিশ এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা-২০১২ বিষয়ে শিক্ষকেরা হাইকোর্টে রিট করেন। রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট রুল জারি করেন।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, কোচিং বাণিজ্য নিয়ে আজকে রায় প্রদানের জন্য দিন ধার্য ছিল। এ মামলায় দুজন অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের বন্ধু) ছিলেন, একজন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল হাসান আরিফ, উনি উনার বক্তব্য আগেই শেষ করেছেন। আজকে আরেকজন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ফিদা এম কামাল তার বক্তব্য দিয়েছেন। উনি খুব বিশদভাবে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, কোচিং বাণিজ্য হলে কী কী হতে পারে, না হতে পারে সেসব বিষয়ে।
তিনি বলেন, আদৌ এটা অ্যালাউ করা ঠিক কিনা তা জানাতে উনি আদালতের কাছে সময় চেয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি লিখিত আর্গুমেন্ট (ব্যাখ্যা) দেবেন। আদালত উনার কথা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে শুনেছেন এবং আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি রায় প্রদানের জন্য দিন ধার্য করেছেন। আগামী রোববারের মধ্যে ফিদা এম কামালকে উনার লিখিত বক্তব্য জমা দিতে বলেছেন আদালত।