Site icon দেশের পত্রিকা – দেশের পত্রিকা দেশের কথা বলে

মধ্যপ্রাচ্য উত্তেজনায় সোনা ও তেলের বাজার অস্থির

অনলাইন ডেস্ক : ইরানের একজন শীর্ষ জেনারেলকে হত্যার জেরে আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্য। এর প্রভাব পড়েছে সোনা ও জ্বালানি তেলের বাজারে। গতকাল সোমবার বিশ্ববাজারে স্পট সোনার দাম ১.৬ শতাংশ বেড়ে আউন্সপ্রতি হয় এক হাজার ৫৭৯ ডলার, যা ২০১৩ সালের এপ্রিলের পর সর্বোচ্চ। এর পাশাপাশি জ্বালানি তেলের দামও বেড়েছে। অশোধিত ব্রেন্ট তেলের দাম ২.০৪ শতাংশ বেড়ে প্রতি ব্যারেল হয় ৭০ ডলার। এর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের অশোধিত তেলের দাম ১.৭ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৬৪ দশমিক ১২ ডলার। সামরিক উত্তেজনার জেরে দরপতন ঘটেছে ইউরোপ ও এশিয়ার শেয়ারবাজারেও।

ইউবিএস গ্লোবাল ওয়েলথ ম্যানেজমেন্টের প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা মার্ক হায়েফেলে বলেন, ভূ-রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ প্রকৃতিগতভাবে অনিশ্চিত পরিস্থিতি তৈরি করে। ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে যে সামরিক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে তা বড় আকারেই বাজারে প্রভাব ফেলেছে। তবে নেতিবাচক এ প্রভাব দীর্ঘ মেয়াদে থাকবে না। পণ্যবাজারের চাহিদার কারণে স্বাভাবিকভাবেই বাড়ছিল হলুদ ধাতুর দাম। কিন্তু আকস্মিক যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় ইরানের সামরিক কর্মকর্তা কাসেম সোলাইমানি নিহত হওয়ায় ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা বেড়ে যায়। যার প্রভাবে গত সপ্তাহে সোনার দাম আউন্সপ্রতি বেড়েছে ৩০ ডলারের বেশি। সপ্তাহ শেষে গত শুক্রবার সোনার দাম বেড়ে প্রতি আউন্স হয় এক হাজার ৫৫০ ডলার। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং ইকোনমিকসের হিসাবে গত এক বছরে বিশ্ববাজারে সোনার দাম বেড়েছে ২২ শতাংশের বেশি এবং এক মাসে বেড়েছে প্রায় ৮ শতাংশ।

এদিকে ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের (ডাব্লিউজিসি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯ সালের শেষ নাগাদ সোনার দাম ছিল প্রতি আউন্স এক হাজার ৫০০ ডলার। এ খাতে বিনিয়োগ চাহিদা বাড়ায় ২০২০ সালে মূল্যবান এ ধাতুর দাম আরো বাড়বে। ডাব্লিউজিসির বিনিয়োগ গবেষণা পরিচালক জ্যঁ কার্লোস আর্টিগাস বলেন, বিশ্বে রাজনৈতিক অস্থিরতার পাশাপাশি অর্থনীতির অনেক খাতেই এখনো অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। সে কারণেই এ বছরও ঊর্ধ্বমুখী থাকবে সোনার বাজার।সূত্র:রয়টার্স।

Exit mobile version