ভূতকে বাগে আনতে হিমশিম খাচ্ছে জাপান

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে হঠাৎ ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনা কতটা গভীর বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে, ১৯৮৬ সালের চেরনোবিল দুর্ঘটনা এবং তারও আগে ১৯৭০-এর দশকের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের থ্রি মাইলস আইল্যান্ড দুর্ঘটনা তা আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে। তবুও সহজ জ্বালানির অন্বেষণ আমাদের যে বারবার সেই একই ভুলের দিকে নিয়ে যাচ্ছে, ফুকুশিমা দাই-ইচি হচ্ছে তার সর্বশেষ প্রমাণ। দুর্ঘটনার সুদূরপ্রসারী প্রভাব কেবল বিদ্যুৎকেন্দ্রের চত্বরে সীমিত থাকেনি, বরং বিস্তীর্ণ এক অঞ্চলজুড়ে ছড়িয়ে দিয়েছে এর গভীর ক্ষত। এ থেকে মুক্ত হতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে জাপানের মতো ধনী এবং প্রযুক্তির দিক থেকে অগ্রসর একটি দেশকে।

পারমাণবিক বিদ্যুৎ তাই যেন অনেকটা সেই গল্পের বোতলে আটকে থাকা দানবের মতো। বোতল থেকে একবার বের হতে পারলেই চারদিকে সে ঘটিয়ে দেয় তুলকালাম সব কাণ্ড। জাপান, বিশেষ করে জাপানের ফুকুশিমা জেলার লোকজন সেই বাস্তবতা এখন বেশ ভালোভাবে অনুধাবন করতে পারছেন।

যেদিকেই চোখ যায়, সেখানেই দূষিত পানির ট্যাংক। ছবি: কিমিমাসা মাইয়ামাবিদ্যুৎকেন্দ্রের দুর্ঘটনার তাৎক্ষণিক ক্ষয়ক্ষতি অনেকটা আশপাশের এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়া তেজস্ক্রিয়তার আলোকে নিরূপণ করা হলেও, সার্বিকভাবে ক্ষতির মাশুল কিন্তু এখনো গুনতে হচ্ছে পুরো ফুকুশিমা জেলাকে। জাপানের অভ্যন্তরে ফুকুশিমায় উৎপাদিত পণ্য নিয়ে দুর্ঘটনার পর বছরখানেক ধরে মানুষের মনে নানা রকম উৎকণ্ঠা ও সন্দেহ থাকলেও, একসময় ধীরে ধীরে তা কেটে যায়। তবে জাপানের বাইরে, বিশেষ করে নিকট প্রতিবেশী দেশগুলোতে ভয় এখনো কাটেনি। ফলে ফুকুশিমার পণ্য এখনো বেশ কিছু দেশে নিষিদ্ধ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত। এ ছাড়া ফুকুশিমার পর্যটনশিল্প খাতকেও এই দুর্ঘটনা করে তুলেছে বিপন্ন। ফুকুশিমা ভ্রমণে আসা পর্যটকের সংখ্যা এখন ২০১১ সালের দুর্ঘটনা-পূর্ববর্তী সময়ের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেলেও, জাপানের অন্যান্য অঞ্চলের বৃদ্ধির হারের তুলনায় তা কিন্তু এখনো যথেষ্ট কম।

ফুকুশিমা দাই-ইচি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিচালক কোম্পানি টেপকো ও জাপান সরকার অবশ্য বিস্তৃত সে রকম নেতিবাচক প্রভাবের কারণ হিসেবে মূলত গুজব ছড়ানোকে দায়ী করছে। কিন্তু কেন সে রকম গুজব ছড়াচ্ছে, তা মনে হয় খুব আন্তরিকতার সঙ্গে পর্যালোচনা করে দেখা হয়নি। জাপানের ফুকুশিমা জেলা কৃষিজাত পণ্য ও সামুদ্রিক খাদ্যের জন্য অনেক দিন থেকেই জাপান ছাড়াও দেশের বাইরেও সুপরিচিত। তবে ২০১১ সালের পারমাণবিক দুর্ঘটনার পর জেলার খাদ্যসামগ্রীতে তেজস্ক্রিয় দূষণ ছড়িয়ে পড়া নিয়ে এক ধরনের ভীতি দেখা দিলে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়েছে ফুকুশিমার কৃষিজীবী ও মৎস্যজীবী সম্প্রদায়কে। দুর্ঘটনার আট বছর পর ক্ষতিকর সেই চক্রের প্রভাব থেকে ধীরে ধীরে এরা বের হয়ে আসতে সক্ষম হলেও, এখনো পর্যন্ত ২৮টির মতো দেশ ফুকুশিমার খাদ্যসামগ্রী আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা বলবত রাখছে। জাপান সরকার ও ফুকুশিমা জেলা কর্তৃপক্ষ খাদ্যজাত পণ্যে দূষণ নিরূপণে কঠোর পরীক্ষার ব্যবস্থা চালু করার পরও দূর হয়নি অনেকের মধ্যে দেখা দেওয়া আশঙ্কা।

ফুকুশিমা দাই-ইচির মন বিষণ্ণ করে দেওয়া ধ্বংসাবশেষের মাঝে আমরা। ছবি: কিমিমাসা মাইয়ামাদুর্ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত এ রকম নানা দিক সম্পর্কে জানা ও দেখার সুযোগ আমাদের টোকিওভিত্তিক একদল বিদেশি সাংবাদিকদের হয়েছিল। জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্প্রতি আয়োজিত একটি প্রেস ট্যুরের কল্যাণে এই সুযোগ পাওয়া যায়। দুই দিনের সেই কর্মসূচির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অংশটি ছিল ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভেতরে গিয়ে সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ এবং টেপকো কর্মকর্তাদের কাছ থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্র নিষ্ক্রিয় করে দেওয়ার কাজে এ পর্যন্ত হওয়া অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে পারা।
পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রে দুর্ঘটনা ঘটে গেলে পরিচালকদের শুরুতেই যেদিকে মনোনিবেশ করতে হয়, তা হলো ‘কুল শাটডাউন’ নামে পরিচিত পরমাণু চুল্লির নিজে থেকে সচল থাকার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেওয়া। সেটি করতে না পারা গেলে, এর থেকে হাইড্রোজেন গ্যাসের বিস্ফোরণ এবং পরিণতি হিসেবে বিস্তৃত এলাকা জুড়ে তেজস্ক্রিয়া ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি থেকে যায়। ফুকুশিমার বেলায় একাধিক বিস্ফোরণ পরিস্থিতি জটিল করে তোলায় ‘কুল শাটডাউন’ নিশ্চিত করে নিতে সময় লেগেছিল কয়েক মাস। বিদ্যুৎকেন্দ্রের সেই সময়ের পরিচালক মাসাও ইয়ামাদা ক্যানসারের রোগী হওয়া সত্ত্বেও জরুরি দায়িত্ব পালনের জন্য সেখানে অবস্থান করেন। ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে ‘কুল শাটডাউন’ নিশ্চিত করে নেওয়ার পরই তিনি দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে সরাসরি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এবং বছর দুয়েক পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

কুল শাটডাউনের মধ্য দিয়ে পারমাণবিক চুল্লির স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু থাকার প্রক্রিয়া বন্ধ হলেও চুল্লির আধার এবং তলদেশে জমা হওয়া অত্যন্ত উচ্চমাত্রার তেজস্ক্রিয় বর্জ্য সরিয়ে ফেলা এবং শীতলীকরণের জলাধারে জমা হয়ে থাকা জ্বালানি রড সরিয়ে ফেলা হচ্ছে বর্তমানে কেন্দ্রের পরিচালকদের অগ্রাধিকারভিত্তিক দায়িত্ব। অন্যদিকে চুল্লি শীতল রাখার জন্য ব্যবহৃত পানির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়া ক্রমেই পরিচালকদের জন্য হয়ে উঠছে মাথাব্যথার আরেকটি কারণ।

তেজস্ক্রিয়ার সংস্পর্শে আসায় দূষিত বিবেচিত পানির ব্যবস্থাপনা কীভাবে করা যায়, টেপকো কর্মকর্তারা এখনো পর্যন্ত তা সুনির্দিষ্টভাবে ভেবে উঠতে পারেননি। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনাকালে বিদ্যুৎকেন্দ্র অকেজো করে দেওয়ার প্রক্রিয়ার জনসংযোগ ব্যবস্থাপক কেনজি আবে দূষিত পানির ব্যবস্থাপনার কয়েকটি বিকল্পের উল্লেখ করে বলেছেন, ফুকুশিমার জন্য সবচেয়ে জুতসই পথ সম্ভবত হবে পানি দূষণমুক্ত করে নিয়ে সমুদ্রে তা প্রবাহিত করা।

বিধ্বস্ত চুল্লি ভবনের বাইরে তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা পরিমাপ করছেন টেপকো কর্মী। ছবি: কিমিমাসা মাইয়ামাউল্লেখ্য, থ্রি মাইলস আইল্যান্ডের দুর্ঘটনার বেলায় দূষিত পানি বহুলাংশে দূষণমুক্ত করে নেওয়ার পর বাষ্পীভূত করে বাতাসে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল এবং চেরনোবিলে তা পুরু কংক্রিটের আস্তরণের নিচে চেপে রাখা হয়। তবে ফুকুশিমার জমা হতে থাকা পানি দূষণমুক্ত করার প্রক্রিয়া ত্রুটিপূর্ণ থেকে যাওয়ায়, পানি জমা করে রাখার বাইরে অন্য কোনো পদক্ষেপ গ্রহণে বিদ্যুৎকেন্দ্র এখনো সেভাবে অগ্রসর হতে পারেনি। ফলে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করার পর শুরুতেই যা চোখে পড়ে তা হলো, বিশাল এলাকাজুড়ে দাঁড় করিয়ে রাখা দৈত্যাকারের সব পানির ট্যাংক। চুল্লির ভেতরে জমা হয়ে থাকা জ্বালানি বর্জ্য শীতল করে নিতে পানির বিরতিহীন প্রবাহ সেখানে সঞ্চালিত করা হচ্ছে এবং এই প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত পানি যেন বাইরে ছড়িয়ে পড়ে তেজস্ক্রিয় দূষণ পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটাতে না পারে, সে জন্য সেই পানি জমা রাখা হচ্ছে সেসব ট্যাংকে। আর এই প্রক্রিয়ায় সমানে বিস্তৃত হচ্ছে পানির ট্যাংকের দখলে চলে যাওয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের জায়গা।

ধ্বংসের মাত্রা মনে করিয়ে দেয় যুদ্ধের তাণ্ডবকে। ছবি: কিমিমাসা মাইয়ামা

বিদ্যুৎকেন্দ্রের কর্মকর্তাদের মতে, দূষিত পানিতে থেকে যাওয়া মোট ৬৩ ধরনের পরমাণু উপাদানের মধ্যে প্রায় ৬২টি সরিয়ে ফেলা সম্ভব হলেও, পানি ট্রিটিয়াম মুক্ত করা যাচ্ছে না বলে সেগুলো এখনো জমা করে রাখতে হচ্ছে। টেপকো কর্মকর্তারা ট্রিটিয়ামকে ক্ষতিকর মনে করে না থাকলেও, ফুকুশিমার স্থানীয় জনগণ কিন্তু তা মনে করছেন না। ফলে ট্রিটিয়ামযুক্ত পানি সমুদ্রে ফেলে দেওয়ার বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ অবস্থান তাঁরা নিয়েছেন। আর এর ফলে বিদ্যুৎকেন্দ্রের সমানে বেড়ে চলেছে পানির ট্যাংকের সংখ্যা। বিশাল আকারের একেকটি ট্যাংক ১ হাজার থেকে ১২০০ টন পর্যন্ত পানি ধরে রাখতে সক্ষম এবং কেন্দ্রে জমা হওয়া দূষিত পানির মোট পরিমাণ শত কোটি টন ছাড়িয়ে যাচ্ছে।

ধ্বংসের মাত্রা মনে করিয়ে দেয় যুদ্ধের তাণ্ডবকে। ছবি: কিমিমাসা মাইয়ামাতবে বিদ্যুৎকেন্দ্রের সামনে দেখা দেওয়া সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে, পারমাণবিক চুল্লিতে জমা হওয়া পরমাণু বর্জ্য ও উচ্চমাত্রার তেজস্ক্রিয়া ছড়িয়ে দেওয়া নানা রকম ধ্বংসাবশেষ। তেজস্ক্রিয়ার মাত্রা খুব উঁচু হওয়ায় মানুষের পক্ষে এমনকি নানা রকম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েও এর কাছাকাছি যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফলে চেষ্টা চালানো হচ্ছে দূরনিয়ন্ত্রিত রোবট কাজে লাগিয়ে সে রকম উপাদান সংগ্রহ করে সেগুলোর সঠিক ব্যবস্থাপনা করা। তবে সেই কাজে ধীর অগ্রগতি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হাতে নিতে টেপকোর পাশাপাশি সরকারকেও বাধ্য করছে। দীর্ঘমেয়াদি সেই রূপকল্পে ফুকুশিমা দাই-ইচি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পুরোপুরি অকেজো করে দেওয়ার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসের পর আরও ৩০ থেকে ৪০ বছর।

টেপকো ধারণা করছে, পারমাণবিক চুল্লির জ্বালানি ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করতে কম করে হলেও আরও প্রায় দুই বছর লেগে যাবে। এরপরই কেবল শুরু করা যাবে দূষণমুক্ত করার বাদবাকি কাজ। প্রতিদিন প্রায় হাজার চারেক কর্মী বিদ্যুৎকেন্দ্র নিষ্ক্রিয় করে দেওয়ার কাজ করে চলেছেন এবং এই কাজ ও এর বাইরে বিদ্যুৎকেন্দ্রের আশপাশের এলাকাকে দূষণমুক্ত করতে যে পরিমাণ অর্থ এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে, হিসাবের অঙ্কে তা আকাশচুম্বী।

কেন্দ্রের ভেতরে, বিশেষ করে ১ থেকে ৪ নম্বর চুল্লির ভবন ও আশপাশের এলাকা এখনো যুদ্ধক্ষেত্রের কথা মনে করিয়ে দেয়। দোমড়ানো-মোচড়ানো ইস্পাত কাঠামো, উড়ে যাওয়া ছাদ, ধসে পড়া দেয়াল—সবই যেন বলছে সে রকম এক দৃশ্যপটের কথা। তবে মানুষের যুদ্ধ এখানে হচ্ছে প্রকৃতির রুদ্ররোষকে লাগাম টেনে বশে আনার প্রচেষ্টা। কতটা দ্রুত সাফল্য আসবে, আগামীর দিনগুলোই কেবল তা বলে দিতে সক্ষম।

দৈত্যাকার পানির ট্যাংক। ছবি: কিমিমাসা মাইয়ামাবিদ্যুৎকেন্দ্র ছেড়ে আসার আগে টেপকোর ঝুঁকিসংক্রান্ত যোগাযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কিমোতো তাকাহিরোর কাছে জানতে চেয়েছিলাম, উন্নয়নশীল বিভিন্ন দেশ যে এখন পারমাণবিক জ্বালানির পেছনে ছুটতে শুরু করেছে, নিজেদের তিক্ত অভিজ্ঞতার আলোকে সেটিকে তিনি কতটা যুক্তিসংগত মনে করেন? প্রশ্নের সরাসরি উত্তর তিনি অবশ্য দেননি। তবে বলেছেন, শুধু পারমাণবিক জ্বালানির দিকে নজর না দিয়ে প্রতিটি দেশের উচিত হবে জৈব জ্বালানি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং জলবিদ্যুতের মতো জ্বালানির নানা রকম উৎসের সঠিক ব্যবহার কতটা সম্ভব, সেই হিসাব কষে পদক্ষেপ নেওয়া। জ্বালানি মানুষের প্রয়োজন এবং পারমাণবিক জ্বালানি সেই চাহিদা সহজে পূরণ করে দিতে পারলেও, প্রযুক্তির দিক থেকে খুবই সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। আর এ কারণেই ব্যক্তিগতভাবে তিনি মনে করেন, কেবল পারমাণবিক জ্বালানির দিকে সংকীর্ণভাবে আলোকপাত না করে অন্যান্য বিকল্প খুব ভালোভাবে যাচাই করে দেখা হবে অনেক বেশি যুক্তিসংগত।

বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ফিরে আসার পথে বারবার মনে পড়ে যাচ্ছিল সেই কথা। মন জানতে চাইছিল, আমাদের বেলায় সব রকম বিকল্প আমরা আসলেই যাচাই করে দেখেছি কি না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *