Site icon দেশের পত্রিকা – দেশের পত্রিকা দেশের কথা বলে

যুক্তরাষ্ট্রকেই দায়ী করলো কানাডা : ইরানে বিমান বিধ্বস্ত বিষয়ে !

আন্তজাতিক ডেস্ক : ইরানের মিসাইল হামলায় ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় পরোক্ষভাবে যুক্তরাষ্ট্রকেই দায়ী করলো কানাডা। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যা করে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি না করলে এমন ঘটনা ঘটতো না।

গত ৮ জানুয়ারি ইরানের রাজধানী তেহরানের ইমাম খামেনি বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পরপরই বিমানটিতে আঘাত হানে ইরানের একটি মিসাইল। এই ঘটনায় বিমানটির ১৭৬ আরোহীর সবাই নিহত হন।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম উল্লেখ না করে ট্রুডো বলেন, ওই এলাকায় উত্তেজনা তৈরি না হলে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটতো না। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) গ্লোবাল টেলিভিশনে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি একথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, যদি সাম্প্রতিক উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি না হতো ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রে বিধ্বস্ত বিমানের যাত্রীরা আজও বেঁচে থাকতেন। কানাডার নিহত নাগরিকরা আজ তাদের ঘরে থাকতেন পরিবারের সাথে।

জাস্টিন ট্রুডো বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আজ খুবই পরিষ্কার যে একটি পরমাণু অস্ত্রবিহীন ইরান যেমন দরকার, তেমনি আঞ্চলিক উত্তেজনাও নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত।

তেহরান থেকে উড্ডয়নের পরে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইউক্রেনের আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৩৭ বিধ্বস্ত হয়। এতে বিমানটির ১৭৬ যাত্রীর সবাই নিহত হয়েছেন, যাতে ৫৭ কানাডীয়ও রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত ৩ জানুয়ারি ইরাকের রাজধানী বাগদাদে মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের কুদস ফোর্সের কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হন। এর জবাবে ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। ওই উত্তেজনার মধ্যে রেভল্যুশনারি গার্ডের একটি ইউনিট ভুলবশত মিসাইল ছুড়ে ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বিমানটি বিধ্বস্ত করে।

Exit mobile version